ঢাকা     রোববার   ০৭ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২৩ ১৪৩১

হাঁটুপানিতে ডুবে আছে পঞ্চগড়ের হঠাৎপাড়া গ্রাম

পঞ্চগড় প্রতিনিধি  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:২৫, ৪ জুলাই ২০২৪   আপডেট: ১৫:২৮, ৪ জুলাই ২০২৪
হাঁটুপানিতে ডুবে আছে পঞ্চগড়ের হঠাৎপাড়া গ্রাম

অতি বর্ষণের কারণে পঞ্চগড় সদর উপজেলার বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এর মধ্যে হাঁটুপানিতে ডুবে আছে পঞ্চগড় সদর উপজেলার পূর্বজালাশী এলাকার হঠাৎপাড়া গ্রাম। এ গ্রামের মানুষ এক রকম ঘরবন্দি হয়ে গেছেন। এছাড়াও স্কুল-কলেজে যেতে পারছে না শিক্ষার্থীরা। প্রায় ১ মাস ধরে এ অবস্থা বিরাজ করছে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ এ গ্রামের মানুষের।

এদিকে রাস্তাঘাট ও কালভার্ট ভেঙে গিয়ে চলাচলে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। সদর ইউনিয়নের বলেয়াপাড়া-দেওয়ানহাট সড়কের বলেয়াপাড়া এলাকায় একটি সড়ক ভেঙে যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে। এতে করে কয়েক কিলোমিটার ঘুরে যানবাহনগুলোকে জেলা শহরে যেতে হচ্ছে। 

স্থানীয়রা বলছেন, যে এলাকা দিয়ে পানির চাপ বেশি সেখানে রিং কালভার্ট ভেঙে বক্স কালভার্ট না করে অনেকটা দূরে একটি বক্স কালভার্ট নির্মাণ করা হয়। যার কোনো প্রয়োজনই ছিলো না। আর সড়কের ধার দিয়ে ড্রেন নির্মাণ করে হঠাৎপাড়া গ্রামের পানি তালমা নদীতে ফেলার উদ্যোগ নেয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত নেওয়া হয়নি। ব্যক্তিমালিকানাধীন জমিগুলোতে অপরিকল্পিত ভাবে ইটের দেয়াল দিয়ে অনেকে জলপ্রবাহ বন্ধ করছেন। এ কারণে যেখানে সেখানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে।
 
হাঠৎপাড়া গ্রামবাসীর অভিযোগ, প্রায় সব দপ্তরে যোগাযোগ করেও কোনো রকম প্রতিকার পাননি তারা। এমনকি ২০-২৫ দিন ধরে পানিতে নিমজ্জিত থাকলেও গ্রামে পৌঁছায়নি শুকনো খাবারও। পৌরসভা এলাকার গ্রাম হলেও কোনো সুযোগ সুবিধা পাননি তারা। কেউ খোঁজও নেননি। 

এ গ্রামের বাসিন্দা ওসমান গণি জানান, তিন-চার বছর থেকে জলাবদ্ধতার সমস্যায় আছি। প্রতিবছর কথা দিয়ে যায় কিন্তু কোনো কাজ হয় না। জলাবদ্ধতা দুর করতে হলে একটি ড্রেন নির্মাণ করতে হবে। আমরা বাড়ি থেকে বের হতে পারি না। খুব সমস্যায় আছি। 

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, টানা বর্ষণের কারণে সদর উপজেলার বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। রাস্তাঘাট, কালভার্ট ভেঙে পড়েছে। সমস্যা সমাধানে আমরা প্রশাসনসহ কাজ করছি। হঠাৎপাড়া গ্রামের সমস্যা সমাধানে পৌরসভা এগিয়ে আসলে ভালো হয়।

সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ প্রধান শুভ জানান, আমরা ইতোমধ্যে যারা খুব সমস্যায় পড়েছেন তাদের বাড়িতে বাড়িতে শুকনো খাবার পৌঁছে দিচ্ছি। ভেঙে পড়া কালভার্টগুলোতে আপাতত বাঁশের খড়খড়ি দিয়ে নির্মাণ করে দেয়া হচ্ছে। গ্রামের জলাবদ্ধতার সমস্যাটি দ্রুত সমাধান করা সম্ভব নয়। পৌরসভা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পরিকল্পনা করে কাজ করা দরকার।

নাঈম/ইমন

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়