‘তিন দিন বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকলে বাধ্যতামূলক ছাড়পত্র’ 

‘বিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থী কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে শ্রেণিকক্ষে অনুপস্থিত থাকলে প্রতিদিন ৫০ টাকা জরিমানা; স্কুল পালালে ১০০ টাকা জরিমানা এবং পরপর তিন দিন ক্লাসে অনুপস্থিত থাকলে ওই শিক্ষার্থীকে কারণ দর্শানো ছাড়াই স্কুল হতে বাধ্যতামূলক ছাড়পত্র প্রদান করা হবে।’ 

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) ফেনী গিরিশ-অক্ষয় একাডেমির প্রধান শিক্ষক মো. তাজুল ইসলাম চৌধুরী স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এমন ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। যা নিয়ে অভিভাবক ও সচেতন মহলে আলোচনা হয়েছে।

বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকলে জরিমানা আদায়ের বিধান কোথাও নেই। ফেনীর অন্য কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও এভাবে জরিমানা আদায় করা হয় না। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণি পড়ুয়া শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, ‘স্কুল থেকে আমার বাসা কিছুটা দূরে হওয়ায় মেয়েকে নিয়মিত ক্লাসে পাঠানো সম্ভব হয় না। তবে অনুপস্থিতির জন্য কর্তৃপক্ষ কঠোর হবে এটি ইতিবাচক। তাই বলে এমন একটি সিদ্ধান্ত কোনোভাবে কাম্য নয়। এতে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মনের ওপর প্রভাব পড়বে। কর্তৃপক্ষ কেন এমন উদ্ভট সিদ্ধান্ত নিয়েছে জানি না।’

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ফেনী গিরিশ-অক্ষয় একাডেমির প্রধান শিক্ষক মো. তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, শতভাগ উপস্থিতি, ভালো ফলাফল নিশ্চিত করা ও শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রতিষ্ঠান পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্তে এ নিয়ম চালু করা হয়েছে। তবে কোনো শিক্ষার্থী অসুস্থতা বা যৌক্তিক কারণে ক্লাসে অনুপস্থিত থাকলে পরবর্তী উপস্থিতির দিনে ছুটি মঞ্জুর করে নিতে পারবে।

শিক্ষার্থীদের অনুপস্থিতির ক্ষেত্রে এ ধরনের সিদ্ধান্তের বিধান আছে কি-না— এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধান শিক্ষক বলেন, শৃঙ্খলা রক্ষার্থে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা পর্ষদ এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারে। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর থেকে এটি কার্যকর হয়েছে। 

ফেনী জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শফী উল্লাহ বলেন, ক্লাসে অনুপস্থিতির কারণে শিক্ষার্থীর কাছ থেকে জরিমানা আদায় বা ছাড়পত্র দেওয়ার বিধান নেই। ক্ষেত্র বিশেষ শৃঙ্খলা রক্ষার্থে হয়ত জরিমানা আদায় করতে পারে। তবে এভাবে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এমন কিছু করার সুযোগ নেই। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।