ঢাকা     সোমবার   ০৮ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২৪ ১৪৩১

চিরঘুমে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫ বন্ধু

পাবনা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৪৩, ৫ জুলাই ২০২৪  
চিরঘুমে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫ বন্ধু

পাবনার ঈশ্বরদীতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫ বন্ধুর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার (৫ জুলাই) বেলা ৩টার দিকে উপজেলার আজমপুর ও ভারইমারি গ্রামে জানাজা নামাজ শেষে তাদের স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়।

এর আগে, স্বজনদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই নিহতদের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। সকাল ১০টার দিকে ঈশ্বরদী হাইওয়ে থানা পুলিশ মরদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।

নিহতদের মরদেহ বাড়িতে পৌঁছানোর পর এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। স্বজনদের বুকফাটা আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠে এলাকার বাতাস। তাদের সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষাও হারিয়ে ফেলেন প্রতিবেশীরা। একসঙ্গে এতগুলো প্রাণের মৃত্যু কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না তারা।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বকুল সরদার বলেন, সত্যিই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। নিহতের স্বজনদের সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা নেই। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে যতটুকু সম্ভব পাশে থাকব।

ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুবীর কুমার দাস বলেন, উপজেলা প্রশাসন থেকে নিহতদের পরিবারের খোঁজখবর রাখা হচ্ছে। তাদের যেকোনো প্রয়োজনে পাশে আছি। সরকারিভাবে যতটুকু সম্ভব তাদের সহযোগিতা করা হবে।

নিহত বিজয়ের স্ত্রী অন্তরা খাতুন জানান, বিজয় ঢাকায় গাড়ি চালায়। বৃহস্পতিবার বিকেলে মালিকের প্রাইভেটকার নিয়ে বাড়িতে আসে। সে সময় হঠাৎ বলতে থাকে, আমার সময় বুঝি বেশি নেই, তুমি কি একা থাকতে পারবে। তবে কেন এই কথা বলেছে বুঝতে পারিনি। পরে বলে, আজ আর বাড়ি থেকে বের হবো না। কিন্তু সন্ধ্যার দিকে অন্য বন্ধুরা এসে তাকে বারবার বেড়াতে যাওয়ার অনুরোধ করে। বন্ধুদের অনুরোধে সন্ধ্যার পরে প্রাইভেটকার নিয়ে বেড়াতে বের হয় বিজয়। রাত ৯টায় তার ঢাকায় ফিরে যাবার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই সব শেষ হয়ে যায়।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দিবাগত রাত ৯টার দিকে ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়া চিনিকলের সামনে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ৫ জন নিহত হন। এ ঘটনায় আহত আরও ২ জন পাবনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

নিহতরা হলেন- ঈশ্বরদী উপজেলার আজমপুর গ্রামের কবির ওরফে আনোয়ার হোসেনের ছেলে বিজয় (২৩), রেজাউল করিমের ছেলে জিহাদ (১৬), ইলিয়াস আলীর ছেলে শিশির (১৫), মৃত মাসুম হোসেনের ছেলে সিফাত (১৫) ও ভাড়ইমারি গ্রামের ওয়াজ উদ্দিনের ছেলে শাওন (১৫)।

আহত দুই জন হলেন- জাপান আলীর ছেলে শাহেদ ওরফে জেটু (১৬) ও সুমন হোসেনের ছেলে নাঈম (১৭)। নিহতদের মধ্যে বিজয় ঢাকায় গাড়ি চালান। আর বাকি চারজন স্থানীয় একটি ভোকেশনাল ইনস্টিটিউটের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী।

আরও পড়ুন: পাবনায় গাছে মাইক্রোবাসের ধাক্কায় নিহত ৫

শাহীন/কেআই

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়