ঢাকা     সোমবার   ০৮ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২৪ ১৪৩১

গাইবান্ধায় ২৯ হাজার পরিবার পানিবন্দি, খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম

গাইবান্ধা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:৫৪, ৫ জুলাই ২০২৪   আপডেট: ১৮:১১, ৫ জুলাই ২০২৪
গাইবান্ধায় ২৯ হাজার পরিবার পানিবন্দি, খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম

ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে গাইবান্ধার প্রায় সব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে জেলার চার উপজেলার ২৭ ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ২৯ হাজার পরিবার। এসব এলাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানিসহ শুকনো খাবারের সংকট।

শুক্রবার (৫ জুলাই) বিকেল ৩টায় গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ফুলছড়ি পয়েন্টে বিপৎসীমার ৮৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া, ঘাঘট নদীর পানি ১৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে নতুন ব্রিজ এলাকায় বিপৎসীমার ৩৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে তিস্তা ও করতোয়া নদীর পানি এখনও বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, গত কয়েকদিনের ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে জেলার সব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে গাইবান্ধা সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ২৮ হাজার ৯২৮ পরিবার। তাদের মাঝে বিতরণের জন্য ৪০০ মেট্রিক টন (জিআর) চাল ও নগদ ১০ লাখ টাকা মজুত রয়েছে। খোলা হয়েছে ১৮১টি স্থায়ী ও অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র।

মোল্লারচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান সরকার বলেন, ইউনিয়নের প্রায় ২ হাজার ৪০০ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পানিতে ডুবে গেছে বেশ কিছু বাজার ও স্কুল। এ পর্যন্ত নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে শতাধিক ঘরবাড়ি।

সাঘাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন সুইট বলেন, আমার ইউনিয়নের ৬টি ওয়ার্ড প্লাবিত হয়ে ৫-৬ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পানিবন্দি এসব মানুষের জন্য বিশুদ্ধ পানি এবং খাবারের প্রয়োজন। এছাড়া সংকট দেখা দিয়েছে গোখাদ্যের।

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক বলেন, ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে গাইবান্ধার সবগুলো নদ-নদীর পানি বেড়েছে। ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘট নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সব ধরনের ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা জুয়েল মিয়া বলেন, জেলা প্রশাসন থেকে শুকনো খাবার, জিআর চাল (প্রাকৃতিক দুর্যোগ), নগদ অর্থ মজুদ রয়েছে। ত্রাণ বিতরণ ও উদ্ধার কার্যক্রমের জন্য নৌকা ও স্পীডবোট প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া, ইউনিয়ন ভিত্তিক বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। প্রতিটি উপজেলায় গঠন করা হয়েছে মেডিকেল টিম। খোলা হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি সংক্রান্ত কন্ট্রোল রুম। সেখানে একটি হটলাইন নম্বর দেওয়া রয়েছে, যার মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টা যে কেউ, যেকোনো প্রয়োজনে তথ্য আদান-প্রদান করতে পারবেন।

মাসুম/কেআই

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়