ঢাকা     মঙ্গলবার   ০৯ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২৫ ১৪৩১

নির্মাণের ১০ দিনের মধ্যে উঠে যাচ্ছে সড়কের পিচ

পটুয়াখালী (উপকূল) প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:৪৭, ৫ জুলাই ২০২৪   আপডেট: ২৩:০১, ৫ জুলাই ২০২৪
নির্মাণের ১০ দিনের মধ্যে উঠে যাচ্ছে সড়কের পিচ

কোথাও হাতের টানে উঠে যাচ্ছে, কোথাও আবার পায়ের আঙ্গুলের ঘষা খেয়েই উঠে যাচ্ছে, কোথাওবা পায়ের চাপে দেবে যাচ্ছে সড়কের পিচ। পুরো সড়কে ২৫ মিলিমিটার পুরো পিচ ঢালাই দেওয়ার কথা থাকলেও বেশিরভাগ স্থানে দেওয়া হয়েছে ১৫ থেকে ২০ মিলিমিটার ঢালাই। 

পটুয়াখালীর মহিপুরে সাগর সিনেমা হল থেকে নিজামপুর খেয়াঘাট পর্যন্ত ৩.৩ কিলোমিটার সড়কের নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার ১০ দিন যেতে না যেতে এই দুরাবস্থা দেখা দিয়েছে।

এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর অভিযোগ, কলাপাড়া উপজেলা এলজিইডি অফিসের উদাসীনতা ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের গাফেলতিতে সড়কের এমন বেহাল দশা হয়েছে।

কলাপাড়া এলাজিইডি অফিস সূত্রে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় আম্পান ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রকল্পের আওতায় সড়কটি পুনঃনির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করে এলজিইডি। সড়কটির দৈর্ঘ্য ৩.৩ কিলোমিটার ও প্রস্থ ৩ মিটার। ১ কোটি ৩৩ লাখ টাকা ব্যয়ে এ সড়কের নির্মাণ কাজ পায় শহীদুল এন্টার প্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। ১০ দিন আগে শেষ হয়েছে এ সড়কের পিচ ঢালাইয়ের কাজ। ইতোমধ্যে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে বিল পরিশোধ করা হযেছে প্রায় ৯০ লাখ টাকা। তবে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় ইতোমধ্যে বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে সড়কটি।

নিজামপুর এলাকার বাসিন্দা নাসির মিয়া বলেন, ‘এত নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে সড়ক নির্মাণ এর আগে আমি আর কখনো দেখিনি। যেকোনো স্থান থেকে হাত দিয়ে টান দিলেই উঠে যাচ্ছে পিচ। সড়ক নির্মাণে দুর্নীতি করায় এ প্রকল্পের কর্মকর্তাদের প্রশাসনিক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’ 

একই এলাকার বাসিন্দা সোলেমান মুন্সী জানান, এখনই পিচ উঠে যাচ্ছে। নিচে কোনো ইটের খোয়া ব্যবহার করা হয়নি। অনেক স্থানে শুধু মাটির উপর পিচ দেওয়া হয়েছে। সড়কটি নতুন করে নির্মাণের দাবি জানান তিনি। 

এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি কলাপাড়া উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ সাদেকুর রহমান সাদেক। তবে সড়কটি পুনঃনির্মাণ না করা পর্যন্ত বাকি বিল আটকে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম জানান, নিম্নমানের কাজ হওয়ায় ইতোমধ্যে এলজিইডি কর্মকর্তাদের চাপ প্রয়োগ করা হয়েছে। তাদের সঠিক তদারকির মাধ্যমে নতুন করে সড়কটি মেরামত করতে বলা হয়েছে।

কলাপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান মোতালেব তালুকদার বলেন, ‘আমি ভিডিও দেখেছি। সড়কটিতে অত্যন্ত নিম্নমানের কাজ হয়েছে। আমি তদারকি কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর সুপারিশের পাশাপাশি দ্রুত সময়ের মধ্যে নতুন করে নির্মাণের নির্দেশনা দিয়েছি।’

ইমরান/সনি

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়