ঢাকা     শনিবার   ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ||  আশ্বিন ২০ ১৪৩১

কুমিল্লায় মজুত ৪ লাখ ২৭ হাজার ডিম জব্দ, নিলামে ৬ টাকায় বিক্রি 

কুমিল্লা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:৩৯, ৬ জুলাই ২০২৪   আপডেট: ০৯:৪২, ৬ জুলাই ২০২৪
কুমিল্লায় মজুত ৪ লাখ ২৭ হাজার ডিম জব্দ, নিলামে ৬ টাকায় বিক্রি 

কুমিল্লার লালমাই উপজেলার মেঘনা কোল্ডস্টোরেজে অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে মজুত ৪ লাখ ২৭ হাজারটি ডিম জব্দ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে ডিম নিলামে ৬ টাকা দরে বিক্রি করা হয়। ডিম বিক্রির প্রায় ২৭ লাখ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে বলে গতকাল শুক্রবার (৫ জুলাই) নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ হেলাল উদ্দিন।

এর আগে, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার বরল এলাকার মেঘনা কোল্ডস্টোরেজে অভিযান চালিয়ে ডিম জব্দ করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল শুক্রবার সকালে জব্দকৃত ডিম নিলামে তোলা হয়। 

ইউএনও মুহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় বিভিন্ন কোল্ডস্টোরেজে অবৈধ মজুত আছে কী না জানতে- অভিযান চালানো হয়। এরই অংশ হিসেবে ৪ জুলাই সন্ধ্যায় লালমাই উপজেলার বরল এলাকার মেঘনা কোল্ডস্টোরেজে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ ডিমের মজুত পান ভ্রাম্যমাণ আদালত। ডিম অবৈধ মজুতদারির দায়ে কোল্ডস্টোরেজকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারজানা আক্তার।’

আরো পড়ুন:

তিনি আরও বলেন, ‘কৃষি বিপণন আইন অনুযায়ী, ডিমের ক্ষেত্রে সরকারি অনুমোদন সাপেক্ষে সর্বোচ্চ ১০ থেকে ১৫ দিন মজুত রাখা যায়। কোল্ডস্টোরেজে গিয়ে দেখা গেছে, মাসের পর মাস ধরে ডিম মজুত করা হয়েছে। তার মানে এসব অবৈধ মজুত। এর আগেও এই কোল্ডস্টোরেজ থেকে ২১ লাখ ডিম  জব্দ করে বাজারে পাঠানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।’ 

শুক্রবার সকালে মেঘনা কোল্ডস্টোরেজে গিয়ে দেখা যায়, নির্দেশনামতো বিক্রয়কৃত ডিম নিয়ে যাচ্ছেন ক্রেতা। উপজেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, ৪ লাখ ২৭ হাজার ডিম ২৬ লাখ ৯৮ হাজার টাকা মূল্যে নিলামে বিক্রি করা হয়। হিসেব মতে, প্রতিটি ডিম ৬ টাকার একটু বেশি দরে বিক্রি করা হয়েছে।

ডিম সংরক্ষণকারী নোয়াখালী জেলার মাইজদী বড় বাজারের ব্যবসায়ী ইমরান হোসেন বলেন, ‘আগে জানালে আমরা ডিম সরিয়ে নিতাম। ভ্রাম্যমাণ আদালত এসেই ডিম জব্দ করে নিলাম করে দেওয়ায় এখন আমাদের পথে বসার মতো অবস্থা। গরমের কারণে কোল্ডস্টোরেজে ডিম বেশি মজুত হয়। শীতকালে এতো পরিমাণ ডিম মজুত হয় না।’

মো. মাইনুল ইসলাম নামে অপর ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমার ৫২ হাজার ৮০ পিস ডিম ছিল। আমাকে না ডেকেই ডিম নিলাম করা হলো। আমি ধারে টাকা এনে ডিম কিনে সংরক্ষণ করছিলাম।’

প্রকাশ্য নিলামে ভ্যাট-ট্যাক্সসহ প্রায় ৬ টাকা পিস দরে ৪ লাখ ২৭ হাজার পিস ডিম কিনে নেন লালমাই উপজেলার ব্যবসায়ী লোকমান হোসেন। এই ব্যবসায়ী বলেন, ‘নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রকাশ্য নিলামে ডিম বিক্রি করেন। আমি ৪ লাখ ২৭ হাজার ডিমের টাকা জমা দিয়ে নিলাম থেকে ডিম কিনেছি।’

উল্লেখ্য, গত ১৬ মে মেঘনা কোল্ডস্টোরেজে অবৈধমজুত থাকা ২১ লাখ ডিম জব্দ করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেসময় এই কোল্ডস্টোরেজটিকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয় এবং ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জব্দকৃত ডিম বাজারজাত করার নির্দেশ দেওয়া হয়।

রুবেল/মাসুদ


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়