আ.লীগ নেতা বাবুল হত্যা: পৌর মেয়র আক্কাসের রিমান্ড আবেদন
রাজশাহী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
পৌর মেয়র আক্কাস আলী। ফাইল ফটো
রাজশাহীর বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল হত্যা মামলার প্রধান আসামি বাঘা পৌরসভার মেয়র আক্কাস আলীর ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ।
শুক্রবার ঢাকা থেকে গ্রেপ্তারে পর শনিবার (৬ জুলাই) সকালে তাকে রাজশাহী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে নেওয়া হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর দুপুরে তাকে রাজশাহীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে বিচারক জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। রাজশাহী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক রুহুল আমিন বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা বাবুল হত্যা মামলা তদন্ত করছেন বাঘা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শোয়েব খান। এই মামলার প্রধান আসামি পৌর মেয়র আক্কাস আলীকে শনিবার আদালতে হাজির করে ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। তবে এই মামলায় আগে গ্রেপ্তার হওয়া আসামিরা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিনের আবেদন করায় মামলার নথি সেখানে রয়েছে। আসামিদের জামিন আবেদনের শুনানি শেষে নথি সংশ্লিষ্ট আদালতে ফেরত এলে তখন মেয়র আক্কাস আলীর রিমান্ড শুনানি হবে।
উল্লেখ্য, গত ২২ জুন বাঘা পৌর মেয়র আক্কাছ আলীর দুর্নীতি অনিয়মের প্রতিবাদে চলা মানববন্ধন কর্মসূচিতে হামলা হলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল গুরুতর আহত হন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৬ জুন বিকেলে মারা যান তিনি। এ ঘটনায় বাঘা উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহিনুর রহমান পিন্টু বাদী হয়ে মেয়র আক্কাছকে প্রধান করে ৩২ জন নামীয়সহ শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেন।
মামলার পর থেকেই প্রধান আসামি মেয়র আক্কাস পলাতক ছিলেন। শুক্রবার ভোরে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ মতিঝিল এলাকা থেকে আক্কাস ও তার অপর চার সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে। পরে রাজশাহী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কাছে আসামিদের হস্তান্তর করা হয়।
ঢাকায় আক্কাস আলীর সঙ্গে গ্রেপ্তার হওয়া অপর চার সহযোগী আসামি মজনু, টুটুল, আব্দুর রহমান মহুরি ও স্বপনকে শনিবার আদালতে হাজির করা হয়নি। রোববার তাদের আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন করা হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, বাবুল হত্যা মামলায় প্রধান আসামি আক্কাস আলীসহ এখন পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
কেয়া/কেআই
