ঢাকা     রোববার   ০৬ অক্টোবর ২০২৪ ||  আশ্বিন ২১ ১৪৩১

লালমনিরহাটে পানিবন্দি ১০ হাজার পরিবার 

লালমনিরহাট সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:১৪, ৭ জুলাই ২০২৪   আপডেট: ১৫:২৯, ৭ জুলাই ২০২৪
লালমনিরহাটে পানিবন্দি ১০ হাজার পরিবার 

টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে লালমনিরহাটের নিচু এলাকায় প্রবেশ করেছে। তিস্তা নদী তীরবর্তী অন্তত ১০ হাজার পরিবার পনিবন্দি অবস্থায় আছেন। পাশাপাশি এসব এলাকার ফসলের খেত ও রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। বিদ্যালয়গুলোতে পানি থাকায় বন্ধ রয়েছে শিক্ষা কার্যক্রম। 

পানি উন্নয়ন বোার্ড জানায়, রোববার (৬ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে ডালিয়া ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তার পানি রেকর্ড করা হয় ৫১.৯১ মিটার। যা বিপৎসীমার মাত্র ২৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বিপৎসীমা অতিক্রম করার আগেই নিচু এলাকায় এ নদীর পানি প্রবেশ করায় এবছর দ্বিতীয়বারের মতো ভোগান্তিতে পড়েছেন বাসিন্দারা।

এদিকে, ধরলা নদীর পানি লালমনিরহাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

আরো পড়ুন:

লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা এলাকার মজমুল হক বলেন, গত তিনদিন ধরে নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে লোকালয়ে প্রবেশ করেছে। সড়কে চলাচলসহ নানা ধরনের কাজে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। বাড়িতে পানি থাকায় নানা আতঙ্কে ঘুম হয় না। 

একই এলাকার হাওয়া বেগম বলেন, বাড়িঘরে বন্যার পানি থাকায় রান্না ও পান করার পানি পাওয়া যাচ্ছে না। দুইটি বাচ্চা ও গবাদিপশু নিয়ে চরম বিপাকে দিন কাটছে। রাতে সাপের উৎপাত শুরু হয়েছে। ভয়ে ঘুম হয় না। 

লালমনিরহাট সদর উপজেলার কালমাটি পাকারমাথার বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, টানা বৃষ্টির কারণে নদীর পানি বেড়ে রাস্তা তলিয়ে আছে। বাড়িঘরে পানি ঢুকেছে। পানি কমে গেলে নদীর ভাঙন শুরু হবে। নদীর তীরবর্তী এলাকার মানুষরা খুবই কষ্টে আছেন।

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শুনীল কুমার রায় বলেন, গতবছর ভারতের সিকিমের বাঁধ ভেঙে পানির সঙ্গে পলি এসেছিল। ফলে তিস্তার পানি ধারণ ক্ষমতা কমে এসেছে। তাই বিপৎসীমা অতিক্রম না করলেও নদীটির পানি নিচু এলাকায় প্রবেশ করে। পানি আবার কমে গেলে ভাঙন শুরু হবে। নদী ভাঙন ঠেকাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

আদিতমারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার এ. কে. এম আজিজুল হক বলেন, ‘আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নটি নদী তীরবর্তী এলাকা। সেখানে ৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। পানি নেমে গেলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পুণরায় চালু করা হবে।’

লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন, ‘পানিবন্দি এলাকা পরিদর্শন করেছি। জেলা প্রশাসনের কাছে পর্যাপ্ত বরাদ্দ রয়েছে। দুর্ভোগে থাকা মানুষদের ত্রাণ সহায়তা ও শুকনো খাবার বিতরণ করা হবে।’

জামাল/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়