বিএনপি নেতা বাচ্চুকে কুপিয়ে জখম: ৯ আসামি কারাগারে 

নাটোর জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম বাচ্চুকে কুপিয়ে জখম করার মামলায় প্রধান আসামি রাসেদুল ইসলাম কোয়েলসহ নয় জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রোববার (৭ জুলাই) দুপুরে নাটোরের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল আদালতে ১৪ আসামি হাজির হলে আসামি পক্ষের আইনজীবী জামিন আবেদন করেন। তখন বিচারক মো. রওশন আলম জামিন নামঞ্জুর করে নয়জনকে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেন এবং পাঁচজনের জামিন মঞ্জুর করেন।

শনিবার (৬ জুলাই) দুপুরে আহত শহিদুল ইসলাম বাচ্চুর স্ত্রী পারভীন ইসলাম বাদী হয়ে নাটোর সদর থানায় ১৬ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা ৪০-৫০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেন। 

যাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে, তারা রাসেদুল ইসলাম কোয়েল, কানন, রিদয়, সেলিম, সজিব, জনি, প্রিন্স, মোহন ও মাহাতাব। তারা সকালে নাটোর শহরের বাসিন্দা। এর মধ্যে সজিব, প্রিন্ম ও মোহনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। অন্য আসামিরা আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। 

বিএনপির চেয়াপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশের চিকিৎসার দাবিতে বুধবার (৩ জুলাই) সকালে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশে যোগ দিতে শহিদুল ইসলাম বাচ্চু বাসা থেকে আসছিলেন। এ সময় শহরের সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এলে দুর্বৃত্তরা তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে চলে যায়। এতে তিনি পা-হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক জখম হন। পরে তাকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথম নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকায় নেওয়া হয়েছে।

একই দিন বিএনপির কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠানে আসা প্রধান অতিথি রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের (রাসিক) সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সম্পাদক সাব্বির হোসেন চপল, জেলা শ্রমিক দলের দপ্তর সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, ৫ নম্বর ওযার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হিটলুসহ ৬ জনের ওপরও হামলা করা হয়। ওই হামলার এ সকল নেতারা আহত হলেও গুরুতর ছিল না।