বগুড়ায় রথযাত্রায় দুর্ঘটনা, প্রত্যক্ষদর্শী যা জানালেন
বগুড়া প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
প্রত্যক্ষদর্শী অজয় পাল
রথযাত্রা শুরুর পর মোবাইলে ছবি তুলছিলেন অজয় পাল নামের এক ভক্ত-পুণ্যার্থী। কয়েকটি ছবি তোলার পর মোবাইলের ক্যামেরায় আগুন দেখতে পান। এরপর আশপাশে তাকিয়ে দেখেন কেউ নেই। হঠাৎ উপর থেকে তার ছিঁড়ে পড়লে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তিনি। কাছে গিয়ে দেখেন, রথের আশপাশে অসংখ্য মানুষ পড়ে আছেন। বগুড়ায় রথযাত্রায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টের দুর্ঘটনার বর্ণনা এভাবেই করছিলেন প্রত্যক্ষদর্শী অজয় পাল।
রোববার (৭ জুলাই) রাত ৯টার দিকে এই প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে অজয় পাল বলেন, রথ থেকে মাত্র ১৫-২০ হাত দূরে ছিলাম। বিদ্যুৎস্পৃষ্টের পর আগুন ধরে যাওয়ার ঘটনায় অনেকের শরীর ঝলসে গেছে। সে সময় তাদের আর্তনাদে ভারী হয়ে উঠে আশপাশের বাতাস।
এর আগে, এদিন বিকেল সোয়া ৫টার দিকে বগুড়া শহরের সেউজগাড়ী আমতলা মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ৫ জন নিহত ও ৪০ জন আহত হয়েছেন।
স্বজনদের আহাজারি
নিহতরা হলেন- বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার গোহাইল ইউনিয়নের মৃত সুদেবের মেয়ে শ্রীমতি রনজিতা (৬০), আদমদীঘির কুণ্ডগ্রামের মৃত ভবানী মহন্তের ছেলে নরেশ মহন্ত (৬০), বগুড়া সদরের রেলগেট এলাকার লঙ্কেশ্বরের স্ত্রী আতসী রানী (৪০), শিবগঞ্জ উপজেলার কুলুপাড়া গ্রামের মৃত নারায়ণ কুমারের ছেলে অলক কুমার (৪২) ও অজ্ঞাত এক নারী।
ইসকন বগুড়া শাখার অধ্যক্ষ খরাজিত কৃষ্ণদাস বলেন, সড়কে তার থাকবেই। তারের নিচ দিয়ে যাওয়ার সময় রথের গম্বুজটি নামানোর কথা ছিল। এজন্য আমাদের লোকজনও ছিল। ঘটনার আগে রথযাত্রায় প্রচুর ভিড় ছিল। আমি বারবার গম্বুজটি নামাতে বলেছি। কিন্তু, আমার কথা কেউ শোনেননি। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আমিও পড়ে গেছি। এরপর আর কিছু জানি না।
বগুড়া পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, অসতর্কতার কারণে অনাকাঙ্ক্ষিত এই ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনা থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। যাতে ভবিষ্যতে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা আর না ঘটে।
এনাম/কেআই/এনএইচ