ঢাকা     রোববার   ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  ভাদ্র ২৪ ১৪৩১

চিকিৎসক সংকটে কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

পিরোজপুর প্রতিনিধি  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:১৭, ৯ জুলাই ২০২৪   আপডেট: ১২:১৮, ৯ জুলাই ২০২৪
চিকিৎসক সংকটে কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পুরোনো ভবনে খসে পড়েছে পলেস্তারা।

পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক, বেড সংকট ও ভবনের অভাবে চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এ উপজেলার সাধারণ মানুষ।

বর্তমানে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের জটিলতার কারণে নতুন ভবন নির্মাণের কাজ শেষ না হওয়ার কারণে ২০২২ সালে পার্শ্ববর্তী একটি জরাজীর্ণ ভবনে স্থানান্তরিত করা হয়। স্থান সংকুলান না হওয়ায় একই বেডে দুই-তিন রোগী, ফ্লোর ও করিডোরে চলছে চিকিৎসা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৪ জন চিকিৎসকের বিপরীতে মাত্র তিনজন চিকিৎসক দিয়ে চলছে চিকিৎসাসেবা। এদের মধ্যেও মাঝে মাঝে দুই-একজন চিকিৎসক ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে প্রশিক্ষণে যেতে হয়। এতে করে কখনো একজন মাত্র চিকিৎসক দিয়েও কার্যকলাপ চালাতে হয়। এছাড়াও ইউনিয়ন পর্যায়ে কোনো মেডিক্যাল অফিসারও নেই। 

হাসপাতালে ভর্তি রোগী হাফিজা বেগম (৪৫) বলেন, কাউখালীতে মাত্র একটি হাসপাতাল, তার অবস্থা এতই নাজুক যে একই বেডে দুইজন করে রোগী থাকতে হয়। হাসপাতালে ডাক্তারও নাই, আমি অসুস্থ মানুষ। কোথায় চিকিৎসা নিবো বুঝতে পারছি না। আমরা গরিব মানুষ, বাধ্য হয়েই এখানে থাকতে হচ্ছে।

কাউখালীতে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা সদর ইউনিয়নের মজিবর রহমান জানান, হাসপাতালের অবস্থা এতই করুণ যে, ডাক্তার নাই। তারপরে পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় দু’টি কক্ষের ভিতরে ২ থেকে ৩ জন চিকিৎসক প্রতিদিন শত শত রোগীকে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। এতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে চিকিৎসা নিতে হয়। চিকিৎসকদেরও চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র স্টাফ নার্স ফারজানা মুনমুন বলেন, অস্থায়ী ভবনে আমরা বর্তমানে রোগীদের চিকিৎসা সেবার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। যখন রোগী বেশি হয় তখন এক বেডে একাধিক রোগীদের থাকতে দিতে হচ্ছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সুজন সাহা বলেন, অস্থায়ী ভবনে ঝুঁকির ভেতরে আমরা চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছি। ডাক্তার সংকট থাকার কারণে চিকিৎসা সেবায় কিছুটা বিঘ্ন ঘটছে। রোগীদের বেডের অভাবে অনেক সময় একই বেডে একাধিক রোগী থাকতে দিতে হচ্ছে। এছাড়া ভবন সংকটের কারণে ডাক্তার, নার্স ও অফিস কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও একই রুমের  গাদাগাদি করে থেকে কাজ করতে হচ্ছে। এ বিষয়টি এলাকার সংসদ সদস্য মো. মহিউদ্দিন মহারাজকে জানানো হলে তিনি নিজের অর্থ ব্যয়ে ওই ভবনের ছাদের ওপড় একটি টিন শেড নির্মাণকাজ শুরু করেছেন।

পিরোজপুর জেলা সিভিল সার্জন ডাক্তার মিজানুর রহমান বলেন, কাউখালীতে চিকিৎসক সংকট ও ভবন সমস্যা রয়েছে এটা আমার জানা আছে। বিষয়টি আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি।

তাওহিদুল/ইমন


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়