ঢাকা     রোববার   ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  ভাদ্র ২৪ ১৪৩১

টাঙ্গাইলে যমুনাসহ ৩ নদীর পানি এখনও বিপৎসীমার উপরে

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:৩২, ৯ জুলাই ২০২৪   আপডেট: ২০:৩৬, ৯ জুলাই ২০২৪
টাঙ্গাইলে যমুনাসহ ৩ নদীর পানি এখনও বিপৎসীমার উপরে

টাঙ্গাইলে বন্যার পানি নামতে শুরু করলেও মানুষের দুর্ভোগ কমেনি

টাঙ্গাইলে বন্যার পানি কমতে শুরু করলেও যমুনা, ধলেশ্বরী ও ঝিনাই নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে ছয় উপজেলার প্রায় অর্ধলাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে আছে। 

পানিবন্দি অনেক গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছে। অনেকের ফসল ও সবজি নিমজ্জিত হয়ে নষ্ট হয়েছে। 

পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, টাঙ্গাইলে যমুনা নদীর পানি ৯ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ২৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে, ঝিনাই নদীর পানি ৬ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৯১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে ও ধলেশ্বরী নদীর পানি ১ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ২৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বন্যার কারণে জেলার ৩৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। ৩০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভূঞাপুর, নাগরপুর ও বাসাইল উপজেলার অন্তত ৬টি কাঁচা-পাকা সড়ক ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। 

জেলা কৃষি বিভাগ জানায়, জেলায় ৪ হাজার ৫৪৬ হেক্টর জমির ফসল ও সবজি নিমজ্জিত হয়েছে। সদর উপজেলার ১৫০০ পুকুর তলিয়ে মাছ বের হয়ে গেছে। 

সদর উপজেলার ফৈলারঘোনা গ্রামের আসমা বেগম বলেন, ‘আমার সবজি বাগান, ধানক্ষেত নিমজ্জিত হয়েছে। আমাদের গ্রামের শত শত মানুষের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।’

কালিহাতীর মগড়া গ্রামের কৃষক নিজাম উদ্দিন বলেন, বন্যায় গরু-ছাগল নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। ঘাস না পেয়ে ভূসি, খড় কিনে খাওয়াতে হচ্ছে। এতে খরচ বেড়ে যাচ্ছে। অনেকের পাট ও আমন ধানক্ষেত তলিয়ে গেছে। 

জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম বলেন, ছয় উপজেলায় ২০ মেট্রিক টন করে চাল, দুই হাজার করে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, নৌকা ও সরকারি ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। নগদ অর্থ ও ত্রাণ সহযোগিতা পেতে মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, পানির উচ্চতা কমে যাচ্ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। 

কাওছার/বকুল 

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়