ঢাকা     রোববার   ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  ভাদ্র ২৪ ১৪৩১

অপারেশনের সময় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ, হাসপাতাল ভাঙচুর 

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:০০, ৯ জুলাই ২০২৪   আপডেট: ২২:০১, ৯ জুলাই ২০২৪
অপারেশনের সময় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ, হাসপাতাল ভাঙচুর 

টাঙ্গাইলের সেন্ট্রাল মুক্তা হাসপাতালে আকলিমা বেগম (৪২) নামে এক ভ্যানচালকের স্ত্রী পিত্তথলির পাথর অপারেশনের সময় মারা গেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (৯ জুলাই) দুপুরে হাসপাতালে ভাঙচুর করেন রোগীর স্বজনরা। খবর পেয়ে পুলিশ ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন তোফা ঘটনাস্থলে এসে সুষ্ঠু বিচার পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিলে রোগীর স্বজনরা শান্ত হন।

স্বজনরা জানান, গত শনিবার বিকেলে সদর উপজেলার হুগড়া ইউনিয়নের ধুলবাড়ী গ্রামের ভ্যানচালক আব্দুল লতিফের স্ত্রী পেটে ব্যাথা নিয়ে টাঙ্গাইল পৌর শহরের মুক্তা ক্লিনিকে ভর্তি হন। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তার পেটের পিত্তথলিতে পাথর আছে বলে জানায় ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ।

রোববার (৭ জুলাই) ডা. ফরিদ আহমেদের তত্ত্বাবধানে আকলিমা বেগমকে অপারেশন হয়। অপারেশনের ৬ ঘণ্টা পরও রোগীর জ্ঞান ফিরে না আসায় স্বজনদের সন্দেহ হয়। স্বজনরা জানতে চাইলে ডা. ফরিদ জানান, অপারেশন টেবিলে রোগী স্ট্রোক করেছেন, তাকে রেফার্ড করতে হবে। ওই দিনই রোগীকে ঢাকার এনাম মেডিক্যালে রেফার্ড করা হয়। 

আকলিমার স্বামী আব্দুল লতিফ বলেন, ‌এনাম মেডিক্যালে চিকিৎসা ব্যয়ভার আমার পক্ষে বহন করা সম্ভব না। এরপরও তারা জোর করে এনাম মেডিক্যালে পাঠায়। এনাম মেডিক্যালে রোগীকে আইসিইউতে ভর্তি করেন তারা। আজ রোগীকে মৃত ঘোষণা করেন মেডিক্যালটির চিকিৎসকরা।

স্বজনরা জানান, রোগী মুক্তা ক্লিনিকেই মারা গেছেন। বাকিটা ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ নাটক সাজিয়েছে। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে আজ ক্লিনিকে ভাঙচুর করেছেন স্বজনরা।

এ বিষয়ে জানতে ডা. ফরিদের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন তোফা জানান, বুধবার (১০ জুলাই) এশার নামাজের পর বিষয়টি নিয়ে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বসা হবে। 

টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. মিনহাজ উদ্দিন মিয়া বলেন, মুঠোফোনে অভিযোগ পেয়েছি। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কাওছার/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়