ঢাকা     রোববার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  পৌষ ৭ ১৪৩১

প্রশ্নফাঁস কাণ্ড

গ্রামে অসমাপ্ত ডুপ্লেক্স বাড়ি ছাড়া কিছুই নেই আবু জাফরের

পটুয়াখালী (উপকূল) প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:২৩, ১০ জুলাই ২০২৪   আপডেট: ১৮:৪৯, ১০ জুলাই ২০২৪
গ্রামে অসমাপ্ত ডুপ্লেক্স বাড়ি ছাড়া কিছুই নেই আবু জাফরের

মো. আবু জাফরের অসমাপ্ত বাড়ি

প্রশ্নপত্র ফাঁস কাণ্ডে গ্রেপ্তার পিএসসির উপ-পরিচালক মো. আবু জাফরের গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর গলাচিপার কলাগাছিয়া ইউনিয়নে। কয়েক বছর আগে এখানে একটি ডুপ্লেক্স বাড়ি নির্মাণ শুরু করেন তিনি। এলাকায় তেমন যাতায়াত না থাকায় নির্মাণ কাজ অসমাপ্তই রয়ে গেছে।

তবে বাড়ির সামনেই একটি মাদ্রাসা চলে তার অর্থায়নে। এ ছাড়া একই উপজেলায় পাশের গ্রাম কল্যান কলসে রয়েছে তার শ্বশুর বাড়ি। এলাকায় গেলে শ্বশুরবাড়িতেই থাকেন তিনি। বর্তমানে সেই বাড়িটিও তালাবদ্ধ, কেউ নেই। এই এলাকার একটি মাদ্রাসারও আংশিক ব্যয়ভার বহন করেন তিনি। এ ছাড়া ঢাকার রামপুরায় জ্যোতি ইনিস্টিউট নামের একটি কোচিং সেন্টারের আংশিক মালিকানা রয়েছে তার। 

কলাগাছিয়া এলাকার বাসিন্দা দোলন চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের এলাকায় আবু জাফরের একটি পুরনো বাড়ি রয়েছে। সেখানে কেউ থাকে না, তিনিও দীর্ঘদিন ধরে আসেন না। তিনি যদি প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় জড়িত থাকেন, তাহলে আমরাও তার বিচার চাই।’ 

একই এলাকার হাবলু হাওলাদার বলেন, ‘তিনি এলাকায় আসেন না বললেই চলে। আমরা আগে জানতাম, তার অর্থায়নে এখানে একটি মাদ্রাসা চলে। এর বেশি কিছু আর আমরা জানি না।’

আবু জাফরের স্ত্রীর বড় ভাই আমিনুদ্দিন বলেন, ‘আবু জাফর এত খারাপ প্রকৃতির লোক হতেই পারে না। সে প্রশ্নপত্র ফাঁসের সাথে জড়িত থাকতে পারে না। হয়তো তাকে ষড়যন্ত্রমূলক ফাঁসানো হয়েছে।’

কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাইনুল ইসলাম বলেন, ‘চার পাঁচ বছর আগে আবু জাফরের বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। পরে কুমারখালী বাজার সংলগ্ন এলাকায় ৬০ শতাংশ জমি কিনে নতুন বাড়িনির্মাণের কাজ শুরু করেন। এর বাইরে এই এলাকায় আবু জাফরের আর জমিজমা নেই।’ 

গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহিউদ্দিন আল হেলাল জানান, এখন পর্যন্ত সরকারিভাবে তার সম্পদের বিষয়ে খোঁজখবরে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। সরকারি সিদ্ধান্ত পেলে তদন্ত শুরু হবে।

ইমরান/সনি


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়