ঢাকা     রোববার   ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  ভাদ্র ২৪ ১৪৩১

ব্যারিস্টার সুমনকে হুমকি

ইন্টারনেটে গল্প দেখে প্রতারণার কৌশল শেখেন সোহাগ: পুলিশ

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:৩৮, ১০ জুলাই ২০২৪   আপডেট: ১৮:৪৭, ১০ জুলাই ২০২৪
ইন্টারনেটে গল্প দেখে প্রতারণার কৌশল শেখেন সোহাগ: পুলিশ

গ্রেপ্তারকৃত সোহাগকে নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার আক্তার হোসেন

হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে হত্যা নয়, প্রতারণার মাধ্যমে তার কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়াই ছিল গ্রেপ্তার সোহাগ মিয়ার উদ্দেশ্য। ইন্টারনেটে ভারতীয় একটি গল্প দেখে প্রতারণার কৌশল শেখেন সোহাগ। বুধবার (১০ জুলাই) বিকেলে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার আক্তার হোসেন। 

গ্রেপ্তার সোহাগ মিয়া মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার হিংগাজিয়া (মোবারকপুর) গ্রামের মন্তাজ মিয়ার ছেলে।

পুলিশ সুপার জানান, সোহাগ মিয়া ওরফে সুমেল মিয়া চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) খুদেবার্তা পাঠিয়ে জানান, ব্যারিস্টার সুমনের জীবন ঝুঁকিতে রয়েছে। তাকে হত্যা করা হতে পারে। এ বিষয়ে গত ২৮ জুন চুনারুঘাট থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়। পরে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পরে হবিগঞ্জ পুলিশ ও ঢাকার কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সমন্বয়ে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে নামে। কয়েকদিন আগে তার এক বন্ধুকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তিনি সোহাগের বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য দেন।

গতকাল মঙ্গলবার রাতে সোহাগ মিয়াকে সিলেট শহর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি পুলিশকে জানান, মোবাইলফোন নয়, হোয়াটসঅ্যাপে তিনি সবার সঙ্গে যোগাযোগ করতেন। তার পেশা প্রতারণা। ৬-৭ বছর আগে মধ্যপ্রাচ্যে থেকে দেশে ফিরে তিনি কিছুই করতে পারেননি। এরপর বিদেশে লোক পাঠানোর চেষ্টা শুরু করেন। অনেকের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তাদের বিদেশে পাঠাতে ব্যর্থ হয়েছেন সোহাগ মিয়ে। পরে অভাব-অনটন দূর করতে হ্যাকার হওয়ার চেষ্টা করেন তিনি।

পুলিশ সুপার আক্তার হোসেন জানান, ইন্টারনেটে ভারতীয় একটি গল্প দেখেনে সোহাগ মিয়া। সেখান থেকে তিনি প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে প্রতারণার কৌশল শেখেন। এরই অংশ হিসেবে সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করেন তিনি। যেহেতু, তার কাছে ব্যারিস্টার সুমনের ফোন নম্বর ছিল না, এজন্য ওসিকে খুদেবার্তা পাঠান। তার উদ্দেশ্য ছিল, সংসদ সদস্য হুমকির কথা শুনলেই হয়তো বলবেন, কারা হত্যা করতে চায় তাদের নাম বলো। তখন তিনি টাকা চাইবেন। কিন্তু তার পরিকল্পনা ভেস্তে গেছে। উল্টো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনার পর সোহাগ মিয়া পালাতে চেয়েছিলেন। বারবার স্থান বদল করেছেন। 

পুলিশ সুপার জানান, সোহাগ মিয়ার বিরুদ্ধে একাধিক প্রতারণার মামলা রয়েছে। এর আগেও গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তিনি। তার বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।

মামুন/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়