ঢাকা     রোববার   ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  ভাদ্র ২৪ ১৪৩১

ইঁদুরের গর্ত থেকে ১৯টি খৈয়া গোখরার বাচ্চা উদ্ধার

বগুড়া প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:৩৬, ১১ জুলাই ২০২৪  
ইঁদুরের গর্ত থেকে ১৯টি খৈয়া গোখরার বাচ্চা উদ্ধার

উদ্ধারকৃত খৈয়া গোখরার বাচ্চা

বগুড়ার শেরপুরে বাসাবাড়িতে করা ইঁদুরের গর্ত থেকে ১৯টি খৈয়া গোখরার বাচ্চা উদ্ধার করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুমন জিহাদী।

এর আগে বুধবার (১০ জুলাই) বিকেলে শেরপুর পৌর শহরের উত্তর সাহাপাড়া মহল্লার হরিজনপল্লির একটি বাড়ি থেকে সাপগুলো উদ্ধার করেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন পরিবেশ প্রতিরক্ষা সংস্থার সদস্যরা। পরে তারা বন বিভাগের সহযোগিতায় সাপগুলোকে প্রাকৃতিক পরিবেশে অবমুক্ত করেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, হেলাল বাঁশফোর নামে এক ব্যক্তির ঘর থেকে সাপের বাচ্চা বের হতে দেখে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এসময় কয়েকজন সাপের বাচ্চাগুলো মেরে ফেলারও চেষ্টা করেন। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুমন জিহাদীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি উপজেলার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন পরিবেশ প্রতিরক্ষা সংস্থার সদস্যদের বিষয়টি জানান। পরে তারা সাপগুলো উদ্ধার করেন।

ওই মহল্লার বাসিন্দা খোকন দাস বলেন, ‘এলাকাটিতে ওই সাপের বাচ্চা ছাড়াও আরও ছোট-বড় একাধিক সাপ দেখা গেছে।’ 

পরিবেশ প্রতিরক্ষা সংস্থার সভাপতি সোহাগ রায় বলেন, ‘উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুমন জিহাদী মহোদয়ের থেকে খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে সাপগুলো উদ্ধার করি। উদ্ধারকৃত ১৯টি সাপের বাচ্চার সব কয়টিই খৈয়া গোখরা প্রজাতির। এগুলোর বয়স এক মাস বলে ধারণা করা হচ্ছে।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘খৈয়া গোখরার প্রজননকাল এপ্রিল থেকে জুলাই মাস। এ সময় এই সাপ সাধারণত ইঁদুরের গর্তে অনধিক ৩০টি ডিম দিয়ে থাকে। এদের বিষ শক্তিশালী সিনাপটিক নিউরোটক্সিন ও কার্ডিওটক্সিন–সমৃদ্ধ। এই সাপের বাচ্চার জন্ম থেকেই কার্যকর বিষগ্রন্থি থাকে। এলাকায় আরও অনেক বিষধর সাপ থাকতে পারে।’

খৈয়া গোখরা দংশনের ১৫ থেকে ১২০ মিনিটের মধ্যে বিষক্রিয়ার লক্ষণ প্রকাশ পায়। দংশনের পর দ্রুত অ্যান্টিভেনম দেওয়া হলে রোগী সুস্থ হয়ে যায়।

এনাম/সনি


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়