প্রবাসী ছোট ভাইয়ের মরদেহ আনতে গিয়ে বড় ভাইয়ের মৃত্যু

ওমান প্রবাসী ছোট ভাই তাজুল ইসলাম মারা যান। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তার মরদেহ নিতে নোয়াখালী থেকে যাওয়ার পথে বাসের মধ্যে বড় ভাই দ্বীন ইসলামের হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বাদ জোহর জানাজা শেষে বড় ভাই মো. দ্বীন ইসলামকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এর আগে বুধবার (১০ জুলাই) রাত সাড়ে ১০টায় তার মৃত্যু হয়। 

মো. দ্বীন ইসলাম ও তাজুল ইসলাম নোয়াখালী সোনাইমুড়ী উপজেলার জয়াগ ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের আনন্দীপুর গ্রামের সরওয়ার্দী পাটোয়ারী বাড়ি সিদ্দীক উল্যাহ মিয়ার ছেলে। 

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, তাজুল ইসলাম গত ২০ বছর ধরে জীবন জীবিকার তাগিদে ওমানে বসবাস করে আসছেন। গত পাঁচ দিন আগে তিনি হার্ট অ্যাটাক করে মারা যান। শুক্রবার (১২ জুলাই) সকালে তার মরদেহ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসার কথা রয়েছে। এ জন্য বড় ভাই দ্বীন ইসলাম দুইদিন আগেই (১০ জুলাই) ঢাকা আসার জন্য বাড়ি থেকে বের হন। এ সময় পথে তিনি বাসের মধ্যে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে ঢাকার একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। দ্বীন ইসলামও দীর্ঘ দিন ওমানে ছিলেন। সেখানে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ায় গত দেড় বছর আগে দেশে চলে আসেন। পরে তার সন্তানেরা তাকে আর ওমান যেতে দেয়নি। 

জয়াগ ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মাকছুদুর রহমান বলেন, মৃতদের পরিবার আমার ওয়ার্ডের বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার দুপুরে বড় ভাই দ্বীন ইসলামের জানাজা শেষে উপজেলার জয়াগ ইউনিয়নের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। বুধবার রাতে তার মৃত্যু হয়। অল্প কয়েক দিনের ব্যবধানে একই পরিবারের দুই ছেলের মৃত্যুতে শোকের মাতম চলছে। আমরা এলাকাবাসীও শোকাহত। 

জয়াগ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শওকত আকবর বলেন, শুক্রবার (১২ জুলাই) সকালে ছোট ভাই তাজুলের মরদেহ শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। তার স্বজনেরা মরদেহ নিয়ে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে রওয়ানা দিয়েছেন। তারা এসে পৌঁছালে জানাজা শেষে মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।