ঢাকা     রোববার   ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  ভাদ্র ২৪ ১৪৩১

গাইবান্ধায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি, দুর্ভোগ কমেনি

গাইবান্ধা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:২০, ১৩ জুলাই ২০২৪  
গাইবান্ধায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি, দুর্ভোগ কমেনি

গাইবান্ধার সব নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করায় বন্যা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। পানি কমলেও বন্যা কবলিত এলাকার মানুষের দুর্ভোগ এখনো রয়েছে। এসব এলাকায় শুকনা খাবার, শিশু খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি ও গবাদি পশুর খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় বন্যার পানি কমে আসার সঙ্গে সঙ্গে নানা রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে। মানুষের পাশাপাশি আক্রান্ত হচ্ছে গবাদি পশু। 

গাইবান্ধা পাউবো সূত্র জানায়, শনিবার (১৩ জুলাই) দুপুর ১২টায় ফুলছড়ি পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ২৫ সেন্টিমিটার হ্রাস পেয়ে বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শহরের নিউ ব্রিজ পয়েন্টে ২৪ সেন্টিমিটার হ্রাস পেয়ে ঘাঘট নদীর পানি বিপৎসীমার ৩১ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে হটাৎ করে আবার তিস্তা ও করতোয়ার পানি বেড়েছে। তিস্তার পানি বিপৎসীমার ২১ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও গত ২৪ ঘণ্টায় পানির উচ্চতা ৪০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। করতোয়ার পানি বিপৎসীমার ১১৭ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও গত ২৪ ঘণ্টায় পানির উচ্চতা ১২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। 

গাইবান্ধার সদর উপজেলার কামারজানি ইউনিয়নের কুন্দেরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা রশিদ মিয়া জানান, বন্যার পানি কমতে শুরু করলেও ঘরের ভেতর থেকে এখনো পানি নেমে যায়নি। শিশুদের নিয়ে খুব সমস্যা হচ্ছে। বিশেষ করে তাদের খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। শরীরের চামড়ায় ফুসকুড়ি, পেটের পীড়া থেকে শুরু করে নানা ধরনের রোগ-বালাই নিয়ে চিন্তায় আছি। এছাড়াও গবাদি পশুর খাদ্য নিয়ে আমরা খুব বিপদে রয়েছি। 

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাফিজুল হক বলেন, সব নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। ব্রহ্মপুত্রর নদের পানি কিছুটা কমে বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বাকি সব নদের পানি বিপৎসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বাঁধের কিছু জায়গায় ধ্বসের (রেইন কাট) সৃষ্টি হয়েছে। দ্রুতই সেগুলো মেরামত করা হবে। 

বন্যার্তদের জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ রয়েছে জানিয়ে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক কাজি নাহিদ রসুল বলেন, চার উপজেলার প্রায় ৩৬ হাজার পরিবার এখনো পানিবন্দি রয়েছে। বন্যার্তদের জন্য ১৮১টি আশ্রয়ণ কেন্দ্র খোলা হয়েছে। বন্যা কবলিতদের মাঝে শুকনা খাবার, শিশু খাদ্য ও গবাদি পশুর জন্য ওষুধ ও খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে। পানি বিশুদ্ধিকরণ ট্যাবলেট দেওয়া হয়েছে। এছাড়া অসহায় কর্মজীবী মানুষের জন্য নগদ ১৫ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।

এ সময় তিনি আরও বলেন, কোনো এলাকায় যদি এসব সহায়তা না পৌঁছায় তাহলে আমাদেরকে জানাবেন।

মাসুম/ইমন


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়