ঢাকা     রোববার   ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  ভাদ্র ২৪ ১৪৩১

প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্য তরুণদের স্মার্ট কর্মসংস্থান সৃষ্টি: পলক

পঞ্চগড় প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৪২, ১৩ জুলাই ২০২৪  
প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্য তরুণদের স্মার্ট কর্মসংস্থান সৃষ্টি: পলক

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেছেন, ‌‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রধান লক্ষ্য শিক্ষিত তরুণ জনগোষ্ঠীর জন্য স্মার্ট কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। আইটি সেক্টরে ৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি রপ্তানি আয় নিশ্চিত করতে আগামী ৫ বছরে এই সেক্টরে নতুন করে আরো ১০ লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।’ 

শনিবার (১৩ জুলাই) দুপুরে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলায় প্রায় ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার’-এর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘পঞ্চগড়বাসীর জন্য শেখ হাসিনার উপহার এই আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেটর সেন্টার। এটি হবে পঞ্চগড়ের তরুণ-তরুণীদের স্মার্ট কর্মসংস্থানের ঠিকানা।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘আজকে আমাদের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৩ কোটি ছাড়িয়েছে। এতো দ্রুত এই সংখ্যা বৃদ্ধির কারণ হলো- ইন্টারনেটের দাম কমিয়ে দেওয়া এবং সর্বত্র ইন্টারনেট ছড়িয়ে দেওয়া। ইন্টারনেট নির্ভর শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং সরকারি সেবার মাধ্যমে অনেক কিছুই সহজ হয়েছে।’

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের মহামারি চলাকালে ইন্টারনেটের মাধ্যমে কোর্টে (আদালত) শুনানি হয়েছে। ভার্চুয়ালি মিটিং করে মন্ত্রীসভা পরিষদ, একনেক-এর সভাসহ জেলা ও উপজেলা পর্যন্ত প্রশাসনিক কার্যক্রম দেখভাল করা হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের কারণে আমরা শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাণিজ্য এবং বিচারিক ব্যবস্থাসহ সব কিছুই অনলাইনে করতে পেরেছি।’ 

তিনি বলেন, ‘খুব শিগগিরই গিগাবিট অপটিক্যাল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সারা দেশের জেলায় জেলায় স্বল্পমূল্যে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানকে উচ্চগতি সম্পন্ন ইন্টারনেট সেবা প্রদান করা হবে।’ 

পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন- পঞ্চগড়-২ আসনের সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম সুজন, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জিএসএম জাফরউল্লা, প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ আতিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপার এসএম সিরাজুল হুদা প্রমুখ।

আগামী দুই বছরের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ হলে এই ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেটর সেন্টার থেকে প্রতি বছর এক হাজার তরুণ-তরুণী প্রশিক্ষণ নিয়ে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারবে এবং এখানে বসেই বিশ্বের বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে কাজ করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করতে পারবেন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

নাঈম/মাসুদ


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়