ঢাকা     রোববার   ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  ভাদ্র ২৪ ১৪৩১

টাঙ্গাইলে বন্যা: ৩০ হাজার কৃষকের ৫৭ কোটি টাকার ক্ষতি

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:২০, ১৪ জুলাই ২০২৪   আপডেট: ১৯:২৮, ১৪ জুলাই ২০২৪
টাঙ্গাইলে বন্যা: ৩০ হাজার কৃষকের ৫৭ কোটি টাকার ক্ষতি

টাঙ্গাইলে বন্যার পানিতে তলিয়ে থাকা পাট খেত

টাঙ্গাইলে এবারের বন্যায় ৬টি উপজেলার ১২৩ গ্রামের ৫৯ হাজার মানুষ পানিবন্ধি অবস্থায় রয়েছেন। এসব এলাকায় ৪ হাজার ৬০১ হেক্টর ফসলি জমি নিমজ্জিত হয়েছে বন্যার পানিতে। ফলে ২৯ হাজার ৩৩৫ জন কৃষকের ৫৭ কোটি ৪৯ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। টাঙ্গাইল জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. কবির হোসেন রোববার (১৪ জুলাই) বিকেলে এতথ্য জানান।  

পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, টাঙ্গাইলে যমুনা নদীর পানি ১২ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ঝিনাই নদীর পানি ১৪ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে ও ধলেশ্বরী নদীর পানি ৮ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে টাঙ্গাইল সদর, গোপালপুর, ভূঞাপুর, কালিহাতী, নাগরপুর ও বাসাইল উপজেলার ১২৩টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। 

সরেজমিন টাঙ্গাইল সদরের রসুলপুর, গালা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন। নৌকা ও কলা গাছের ভেলা ছাড়া কেউ বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না। গ্রামগুলোর কৃষকদের ধান, পাট, তিল ও সবজি খেত পানিতে তলিয়ে গেছে। অনেকের পুকুরের মাছ বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। এছাড়া গবাদি পশু নিয়েও বিপাকে আছেন বানভাসি মানুষরা।

গালা গ্রামের কৃষক হুমায়ন সিকদার বলেন, ‘এবারের বন্যায় আমার ধান ও পাটের খেত নিমজ্জিত হয়েছে। প্রায় লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।’ 

রসুলপুর গ্রামের কৃষক মহাদেব সাহা বলেন, ‘বন্যার কারেণ ১২ দিন ধরে রসুলপুর বাজারে গবাদি পশু নিয়ে থাকছি। এখনো ত্রাণ সহযোগিতা পাইনি।’

ফৈলারঘোনা গ্রামের আফজাল হোসেন বলেন, ‘বাড়ির চারদিকে পানি। নিজের মোটরসাইকেল অন্যজনের বাড়িতে রেখে যাতায়াত করতে হয়। সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের গ্রামে কোনো সহযোগিতা আসনি। নিম্ন আয়ের মানুষ যারা, তাদের অনেকেই অনাহারে দিন অতিবাহিত করছেন বলে জানতে পেরেছি।’

টাঙ্গাইল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. কবির হোসেন বলেন, টাঙ্গাইলে কৃষকদের বন্যায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করা হচ্ছে। বরাদ্দ পেলে তাদের সহযোগিতা করা হবে।’

জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা মো. ফাহিম হাসান বলেন, ‘প্রতিটি উপজেলা জিআরের ২০ মেট্রিক টন করে চাল দেওয়া হয়েছে। দুই হাজার করে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট দেওয়া হয়েছে। নগদ অর্থ ও নৌকা দেওয়া হয়েছে। পর্যাপ্ত ত্রাণ আছে, প্রয়োজন হলেই দেওয়া হবে।’

কাওছার/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়