ঢাকা     রোববার   ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  ভাদ্র ২৪ ১৪৩১

ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে পাবিপ্রবি শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ

পাবনা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:০১, ১৫ জুলাই ২০২৪   আপডেট: ১২:৩০, ১৫ জুলাই ২০২৪
ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে পাবিপ্রবি শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গোলাম কিবরিয়া

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের এক নেতার বিরুদ্ধে। আহত শিক্ষার্থীকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতার নাম রাসেল হোসেন রিয়াদ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক উপ-স্কুল ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক এবং জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম গোলাম কিবরিয়া। তিনি সমাজকর্ম বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী। রোববার (১৪ জুলাই) দিবাগত রাত ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জানান, রাসেল হোসেন রিয়াদ এবং তিনি দীর্ঘদিন ধরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ৪০৭ নাম্বার রুমে থাকেন। হলের রিডিং রুমে পড়াশোনার জন্য প্রতিদিন গভীর রাতে রুমে আসেন তিনি। রোববার দিবাগত রাত ৩টার দিকে হলের রিডিং রুম থেকে পড়াশোনা করে রুমে আসেন। এরপর রুমের বাইরে গিয়ে পাঁচ মিনিট পরে আসলে দেখেন, রুমের দরজা বন্ধ। এরপর দরজায় ধাক্কা দিলে রাসেল হোসেন রিয়াদ দরজা খুলে তার দিকে তেড়ে আসেন এবং একপর্যায়ে তাকে মারধর করেন। এতে গোলাম কিবরিয়ার নাক ফেটে যায়।

গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘রাসেল হোসেন রিয়াদ প্রায়ই রুমে ঝামেলা করতেন, খারাপ আচরণ করতেন। কিন্তু, তিনি আজ আমার গায়ে হাত তুলেছেন; এটা প্রত্যাশা করিনি। প্রশাসনের কাছে এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।’

অভিযোগের বিষয় নাকচ করে ছাত্রলীগ নেতা রাসেল হোসেন রিয়াদ বলেন, ‘কিবরিয়া অধিক রাত পর্যন্ত রুমের বাইরে থাকে। আমরা যেহেতু রাজনীতি করি, নিরাপত্তার একটি বিষয় আছে। রোববার দিবাগত রাত ৩টার দিকে সে রুমের দরজা ধাক্কাতে থাকে, এতে আমরা ভয় পেয়ে যাই। দরজা খুলে দেখি কিবরিয়া দাঁড়িয়ে আছে। সে সময় সে উচ্চবাচ্যে কথা বলে। পরে আমাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে সে আমার ওপর হামলা চালায়। এতে আমার ঠোঁট ফেটে যায়, হাতে ব্যথা পাই।’

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম বাবু বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি। ভুক্তভোগী লিখিত অভিযোগ দিলে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘আহত শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে দেখে এসেছি। হাসপাতাল থেকে ক্যাম্পাসে ফিরলে এটা নিয়ে আমরা বসব।’

শাহীন/কেআই

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়