ঢাকা     রোববার   ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  ভাদ্র ২৪ ১৪৩১

কুড়িগ্রামে বন্যায় কৃষিতে ক্ষতি ১০৫ কোটি টাকা

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:০৯, ১৫ জুলাই ২০২৪   আপডেট: ১৭:১৫, ১৫ জুলাই ২০২৪
কুড়িগ্রামে বন্যায় কৃষিতে ক্ষতি ১০৫ কোটি টাকা

বন্যার পানিতে তলিয়ে থাকা খেত

কুড়িগ্রামে বন্যার পানি নামতে শুরু করায় স্পষ্ট হতে শুরু করেছে ক্ষতচিহ্ন। পানির নিচ থেকে ভেসে উঠছে পাট, পটল, আমন বীজতলা ও বেগুনসহ বিভিন্ন সবজির খেত। দ্বিতীয় দফায় বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হওয়ায় জেলার ৯ উপজেলায় শুধুমাত্র কৃষিতেই ক্ষতি হয়েছে ১০৫ কোটি টাকার। 

জেলা কৃষি বিভাগ জানায়, জেলার ৯ উপজেলায় প্রায় ৮ হাজার হেক্টর জমির বিভিন্ন ফসল বন্যার পানিতে তলিয়ে যায়। ক্ষতি নিরুপণ করা হয়েছে ১০৫ কোটি টাকা। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার। 

এদিকে, বন্যার পানির স্রোতে গ্রামাঞ্চলের কাঁচা-পাকা অসংখ্য সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ সমব সড়কে ঝুঁকি নিয়ে বিভিন্ন যানবাহনে যাতায়াত করছেন মানুষজন। কী পরিমাণ গ্রামীণ কাঁচা-পাকা সড়ক ও ঘর-বাড়ির ক্ষতি হয়েছে বন্যায় তা এখনো নিরুপণ করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট দপ্তর। 

কুড়িগ্রাম সদরের যাত্রাপুর ইউনিযনের কৃষক দবির উদ্দিন বলেন, ‘আমার ৫০ শতক জমির পটলের আবাদ শেষ। এখনো বাড়ির চারিদিকে পানি। আমন বীজতলা নষ্ট হয়েছে। এবার মনে হয় না, আমন আবাদ করতে পারবো।’

কুড়িগ্রাম সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের কৃষক মিন্টু বলেন, ‘বন্যার পানিতে এখনো সব জমি তলিয়ে রয়েছে। বীজতলা করার সময় তেমন নেই। এবার আমরা আমন আবাদ করতে পারবো কী না জানি না।’

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, দ্বিতীয় দফা বন্যায় কুড়িগ্রামের ৯ উপজেলায় কৃষি সেক্টরের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করছি। 

বন্যায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের কী পরিমান কাঁচা-পাকা সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা এখনো নিরুপণ করা সম্ভব হয়নি। পানি পুরোপুরি নেমে গেলে সরেজমিনে ক্ষতি নিরুপনের কথা জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল হাসান বলেন, ‘দুই সপ্তাহ পর ব্রহ্মপুত্রসহ জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত সব নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আপাতত বন্যার কোনো পূর্বাভাস নেই।’

বাদশাহ/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়