ঢাকা     রোববার   ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  ভাদ্র ২৪ ১৪৩১

টাঙ্গাইল শহরের পরিস্থিতি থমথমে, বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:২১, ১৬ জুলাই ২০২৪   আপডেট: ১৪:২৬, ১৬ জুলাই ২০২৪
টাঙ্গাইল শহরের পরিস্থিতি থমথমে, বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন

টাঙ্গাইলে কোটা বিরোধী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার পর শহরের বিভিন্নস্থানে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অপ্রীতিকর অবস্থা এড়াতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে তারা। শহরে থমথম পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

শিক্ষার্থী, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার একপর্যায়ে টাঙ্গাইল শহরের নিরালা মোড় এলাকায় অবস্থান নেওয়া ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা স্থানটি ছেড়ে দিয়েছে। 

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান বলেন, শহরে যাতে কোন বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি না হয় এজন্য নিরালা মোড়ে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচী পালন করে ছাত্রলীগ। এসময় কোটা বিরোধীরা আপত্তিকর স্লোগান দিলে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ করা হয়। তবে কারোর উপর হামলা করা হয়নি। পরে দুপুর ১২টার দিকে স্থানটি ছেড়ে দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে কোটা বিরোধী শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে নিরালা মোড়ের দিকে যাওয়ার সময় ধাওয়া করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এসময় ছাত্রলীগের হামলায় ৩ জন শিক্ষার্থী আহত হয় বলে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ।

শিক্ষার্থীরা জানায়, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের অতর্কিত হামলায় ৩ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। এদের গুরুতর আহত একজনকে শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

পরে শিক্ষার্থীদের একটি গ্রুপ টাঙ্গাইল উদ্যোনে একত্রিত হয়। পরে সেখান তারা টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে গিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। পরে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও এম এম আলী সরকারি কলেজের কয়েকশ শিক্ষার্থী মিছিল নিয়ে শহরে প্রবেশ করে। এরআগেই ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা শহরের নিরালা মোড় এলাকা ত্যাগ করে। পরে শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের আশিকপুর বাইপাসে গিয়ে জড়ো হয়। এই ঘটনায় শহরে থমথম অবস্থান বিরাজ করছে।

জেলা পুলিশ সুপার গোলাম সবুর বলেন, বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা কোটা বিরোধী আন্দোলন করছে। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও অবস্থান নিয়েছিল। তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে কোন সমস্যা নেই এটা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। তবে জনগণের ক্ষতির কারণ বা আইনশৃঙ্খলার অবনতি এবং ভাঙচুর বিশৃঙ্খলা করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করলে তা আইনগতভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এদিকে শহরের বিভিন্নস্থানে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। অপ্রীতিকর অবস্থা এড়াতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে তারা।

কাওছার/টিপু


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়