ঢাকা     রোববার   ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  ভাদ্র ২৪ ১৪৩১

কোটা সংস্কার আন্দোলন

বরগুনায় পথচারী-ব্যাবসায়ীদের ওপর ছাত্রলীগ-যুবলীগের হামলা

বরগুনা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:১০, ১৭ জুলাই ২০২৪   আপডেট: ১৯:৩৮, ১৭ জুলাই ২০২৪
বরগুনায় পথচারী-ব্যাবসায়ীদের ওপর ছাত্রলীগ-যুবলীগের হামলা

সারা দেশে শিক্ষার্থীদের ওপরে হামলার প্রতিবাদে এবং কোটা সংস্কারের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বরগুনার কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (১৭ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শহরের পৌর সুপার মার্কেট এলাকায় সমাবেশ করেন তারা।

বিকেল ৫টার দিকে শিক্ষার্থীদের সমাবেশ শেষ হলে ওই এলাকার মিজান টাওয়ারের ব্যবসায়ী ও পথচারীদের ওপর যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয়রা জানান, বিকেল ৪টার দিকে নতুন লঞ্চঘাটের সামনে জড়ো হন জেলা যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। বিকেলে সাড়ে ৪টার দিকে মিছিল নিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সমাবেশস্থলে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাদের বাধা দেয় পুলিশ। এসময় পুলিশের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি হয় যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতাদের।

বিকেল ৫টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা সমাবেশ শেষ করেন। এসময় শিক্ষার্থী ভেবে সমাবেশ স্থলের কাছে মিজান টাওয়ারের ব্যবসায়ী ও পথচারীদের ওপর হামলা চালায় যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। 

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক মিজান টাওয়ারের এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘পৌর সুপার মার্কেটের সামনে কোটা সংস্কারের দাবিতে সমাবেশ করেছে কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। আমরা মিজান টাওয়ারের সামনে দাঁড়িয়ে সমাবেশ দেখছিলাম। শিক্ষার্থীরা চলে যাওয়ার দুই মিনিটের মধ্যে যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে আসেন। আমরা দাঁড়িয়ে দেখছিলাম। হঠাৎ তারা আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে কয়েকজন ব্যবসায়ী আহত হয়েছেন।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অপর ব্যবসায়ী বলেন, ‌‘আমি সদরঘাট মসজিদের দিকে যাচ্ছিলাম। দেখলাম, আমার দিকে ১৭/১৮ বছরের কয়েকজন যুবক স্টিলের পাইপ নিয়ে তেড়ে আসছে। আমি তো কোনো পক্ষে ছিলাম না। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা আমাকে পেটাতে শুরু করে। নিরপরাধ মানুষের ওপর কেন হামলা করলো?’

এ বিষয়ে জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘যারা হামলা করেছে তারা আমাদের কেউ না বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি। বিষয়টি তদন্ত করে যদি যুবলীগ অথবা ছাত্রলীগের কারও সম্পৃক্ততা পাই, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল কবির রেজা বলেন, ‘আমাদের কোনো নেতাকর্মী হামলা করেনি। হতে পারে অন্য কোন দলের সমর্থকরা আমাদের মিছিল ও সমাবেশের পেছনে ছিলো। তারা গন্ডগোল করেছে। ফুটেজ দেখে শানাক্ত করা হবে তাদের। এরমধ্যে ছাত্রলীগের কেউ জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মিজানুর রহমান বলেন, ‘পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সবোর্চ্চ চেষ্টা করেছে। এর মধ্যে কয়েকজন একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটিয়েছে। কয়েকজন ব্যবসায়ী ও সাধারণ নাগরিক আহত হওয়ার খবর পেয়েছি। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেননি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সম্পর্কিত বিষয়:

ঘটনাপ্রবাহ

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়