ঢাকা     রোববার   ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  ভাদ্র ২৪ ১৪৩১

বগুড়ায় সহিংসতায় ৪ কোটি টাকার ক্ষতি: জেলা প্রশাসক

বগুড়া প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:৫১, ২৪ জুলাই ২০২৪  
বগুড়ায় সহিংসতায় ৪ কোটি টাকার ক্ষতি: জেলা প্রশাসক

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বগুড়ায় সরকারি বিভিন্ন স্থাপনা ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের মতো সহিংসতার ঘটনায় প্রাথমিকভাবে ৩ থেকে ৪ কোটি টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে। বুধবার (২৪ জুলাই) এ তথ্য জানিয়েছেন বগুড়ার জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম।

জেলা প্রশাসক বলেন, ‘ভূমি অফিস ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। রেলওয়েকে একটি তদন্ত কমিটি করে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। থানা থেকে একটি রিপোর্ট দেবে। জেলা আওয়ামী লীগের কাছ থেকে আমরা একটি রিপোর্ট চেয়েছি।’

এদিকে, সহিংসতার ঘটনায় বগুড়া জেলার দুটি থানায় ১৩টি মামলা হয়েছে। বগুড়া সদর ও শেরপুর থানায় দায়ের করা এসব মামলায় ২৯৩ জনের নাম উল্লেখ এবং নাম না জানা অনেককে আসামি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ১১১ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পুলিশ সূ্ত্রে জানা গেছে, নাশকতা, সরকারি স্থাপনা ভাঙচুর, সরকারি কাজে বাধা, পুলিশের ওপর হামলা সংক্রান্ত বিষয়ে মামলাগুলো দায়ের হয়েছে। এর মধ্যে ৯টি মামলার বাদী পুলিশ। আওয়ামী লীগ অফিস ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ, এসি ল্যাল্ডের অফিস ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ, পোস্ট অফিসে ভাঙচুর ও রেলওয়েতে নাশকতার ঘটনায় বাকি চারটি মামলা স্ব স্ব দপ্তর থেকে করা হয়েছে। 

বগুড়ার পুলিশ সুপার জাকির হাসান রাইজিংবিডিকে বলেন, ‌‘দায়ের হওয়া মামলায় ইতোমধ্যে দুই থানার ১১১ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে বগুড়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার হেনা রয়েছেন।’ 

প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বগুড়ায় কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়। ওই দিন সকালে প্রথমে বগুড়া আজিজুল হক কলেজে আন্দোলন চলাকালে ককটেল হামলার ঘটনা ঘটে। এসময় ৪ জন আহত হন। পরে একইদিন বিকেল ৩টার দিকে শহরের সাতমাথায় ছাত্রলীগের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ হয়। এ সময় ইট-পাটকেল নিক্ষেপ, ককটেল বিস্ফোরণ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পরে আন্দোলনকারীরা জেলা আওয়ামী লীগ অফিস, টাউন ক্লাব, প্রধান ডাকঘর, মুজিবমঞ্চসহ বিভিন্ন স্থাপনা ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ করে। পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়। 

গত ১৮ জুলাই (বৃহস্পতিবার) বগুড়ায় শহর জুড়ে বিক্ষোভ শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। সকাল ১১টার পর থেকে শহরের সাতমাথা, বনানী, আজিজুল হক কলেজ, সেউজগাড়ী, মফিজ পাগলার মোড়সহ বিভিন্ন স্থানে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। আন্দোলনকারীরা সরকারি বিভিন্ন স্থাপনায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। গত ১৯ জুলাই (শুক্রবার) বগুড়ার সেউজগাড়ী এলাকায় আন্দোলনকারীরা রাস্তায় বিদ্যুতের পোল ফেলে ব্যারিকেড দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ হয়। 

এনাম/মাসুদ


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়