ঢাকা     রোববার   ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  ভাদ্র ২৪ ১৪৩১

কারফিউতে ক্রেতাশূন্য ফেনীর নিত্যপণ্যের বাজার 

ফেনী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:৪৯, ২৫ জুলাই ২০২৪   আপডেট: ০৯:০৮, ২৫ জুলাই ২০২৪
কারফিউতে ক্রেতাশূন্য ফেনীর নিত্যপণ্যের বাজার 

চলমান কারফিউতে বিরূপ প্রভাব পড়েছে ফেনীর নিত্যপণ্যের বাজারে। মাছ, মাংস ও সবজির বাজারে নেই চিরচেনা ভিড়। সারাদেশের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় বাজারে কমেছে সবজি সরবরাহ। এতে সবজিভেদে কেজিপ্রতি ৩০-৫০ টাকা ও মাছ-মাংস কেজিপ্রতি ৫০-৮০ টাকা বেড়েছে। বাজারে ক্রেতা সংকটে অলস সময় পার করছেন ব্যবসায়ীরা। 

বুধবার (২৪ জুলাই) দুপুরের দিকে ফেনীর বড় বাজার ও পৌর হকার্স ঘুরে দেখা যায়, কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৮০ টাকায়, টমেটো ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া পটল, বরবটি, ঢেঁড়সসহ অন্যান্য সবজি সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি ৩০ থেকে ৫০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। 

সাদ্দাম হোসেন নামে এক সবজি বিক্রেতা বলেন, বাজারে ক্রেতা নেই বললেই চলে। গত ৩ দিনে প্রায় ১০ হাজার টাকার সবজি নষ্ট হয়ে গেছে। 

নুর নবী নামে আরেক ব্যবসায়ী বলেন, সরবরাহ কম থাকায় বাড়তি দামে মাল কিনতে হচ্ছে। তারমধ্যে ক্রেতা নেই বললেই চলে। স্বাভাবিক সময়ে যেখানে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা বিক্রি করতাম এখন ২ হাজার টাকা বিক্রি করতেও কষ্ট হচ্ছে। 

আবদুল কাইয়ুম নামে এক ক্রেতা বলেন, প্রয়োজনীয় অল্প কিছু জিনিসপত্র নিতে বাজারে এসেছি। দাম বেশি হলেও কিনতে হচ্ছে, কি আর করা। 

এদিকে ক্রেতা কম থাকায় মাছ-মাংসের দাম কিছুটা স্থিতিশীল থাকলেও আশানুরূপ বিক্রি না হওয়ায় ক্ষতির মুখে ব্যবসায়ীরা। বেলাল হোসেন নামে এক মাছ ব্যবসায়ী বলেন, আন্দোলনের আগে দৈনিক ২০ থেকে ২৫ কেজি মাছ বিক্রি করতাম। এখন ৮-১০ কেজিও বিক্রি করতে পারছি না। 

সাগর নামে আরেক মাছ ব্যবসায়ী বলেন, কারফিউতে মানুষজন বাজারে আসতে পারছে না। কেনা দাম থেকে কম দিয়েও মাছ বিক্রি করতে পারছি না। 

একই চিত্র মুরগী ও মাংসের বাজারে। ফেনীর বড় বাজারে বয়লার মুরগী বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা কেজি দরে। দেশি মুরগী ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা, সোনালী ২৭০ টাকা, হাঁস ৪০০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। 

বড় বাজার মুরগী ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেন, বড় বাজারে মুরগী মাংসের দোকান ৩২টি। প্রতিদিন গড়ে ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা বিক্রি হতো। গত তিনদিন ধরে বেচাকেনা নেই বললেই চলে। অনেক দোকানদার সারাদিনে এক কেজি মুরগীও বিক্রি করতে পারছে না। 

ফজলুল হক নামে এক মাংস ব্যবসায়ী বলেন, আগে ছয় থেকে সাতটি ছাগল জবাই করে বিক্রি করতাম। আজকে একটা করেছি। এখনো অর্ধেকের বেশি মাংস রয়ে গেছে।

সাহাব উদ্দিন/ইমন


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়