টাঙ্গাইলে ভ্যাপসা গরমে লোডশেডিংয়ে মানুষ অতিষ্ঠ
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

টাঙ্গাইলে বিদ্যুতের মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিং হচ্ছে। ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে ব্যবসা-বাণিজ্যে বিরূপ প্রভাব পড়ার পাশাপাশি ভ্যাপসা গরমের মধ্যে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।
গ্রাহকরা জানান, গত কয়েক দিন ধরে দিনে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে।
টাঙ্গাইল বিদ্যুৎ অফিস জানায়, জেলায় বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় সাড়ে তিন লাখ গ্রাহক আছে। বর্তমানে ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা থাকলেও ১০০ মেগাওয়াট পাওয়া যাচ্ছে।
টাঙ্গাইল শহরের বিভিন্ন মার্কেট; সদর উপজেলার কাগমারা, বাসাখানপুর, ধরেরবাড়ীসহ কয়েকটি গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, জেনারেটর চালিয়ে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে বিদ্যুত সরবরাহ করা হচ্ছে। এতে তাদের বাড়তি খরচ করতে হচ্ছে।
শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকার ভাই ভাই রেস্টুরেন্ট ও রেস্তোরাঁর মালিক আমিনুল ইসলাম দুলাল বলেন, দেশের সার্বিক পরিস্থিতিতে এমনিতে ক্রেতা কম। এরপর কয়েক দিন ধরে লোডশেডিং হওয়ায় ক্রেতা পাওয়া যায় না। তাদের ব্যবসায় মন্দা যাচ্ছে।
টাঙ্গাইল শহরের ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম বলেন, দিন-রাত মিলে ৫ থেকে ৮ ঘণ্টা জেনারেটর চালাতে হয়। এতে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা খরচ হচ্ছে।
সদর উপজেলার বাসাখানপুর গ্রামের সোহেল রানা বলেন, ‘দিনে ১০ ঘণ্টাও বিদ্যুৎ পাই না।’
ধরেরবাড়ী গ্রামের আফাজ মিয়া বলেন, ‘ভ্যাপসা গরম, এর মধ্যে ঘন ঘন লোডশেডিং। ছোট নাতি-নাতনি নিয়ে বিপাকে পড়েছি। যে গরম তা আমরা সহ্য করতে পারি না। আর শিশুরা কীভাবে সহ্য করবে। তারা শুধু কান্না করে।’
সদর উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের তাঁত শাড়ী ব্যবসায়ী আজাহার মিয়া বলেন, ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে শাড়ি উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। বিদ্যুৎ না থাকায় শ্রমিকরা কাজ করতে পারছে না।
টাঙ্গাইল বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের বিক্রয় ও বিপণন বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামান বলেন, টাঙ্গাইলে বিদ্যুতের ১৫০ মেগাওয়াট চাহিদা থাকলেও ১০৫ থেকে ১১৫ মেগাওয়াট সরবরাহ পাওয়া যায়। এ ঘাটতি লোডশেডিং এর মাধ্যমে সমন্বয় করা হয়।
কাওছার/বকুল