ঢাকা     বুধবার   ১৫ জানুয়ারি ২০২৫ ||  মাঘ ১ ১৪৩১

পর্যটক নেই রাঙামাটিতে

বিজয় ধর, রাঙামাটি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:৫৩, ২৭ জুলাই ২০২৪  
পর্যটক নেই রাঙামাটিতে

রাঙামাটি জেলার বরকল উপজেলায় রয়েছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত সুবলং ঝর্ণা

প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে অর্থাৎ আষাঢ়-শ্রবাণ মাসে পাহাড় অরণ্যে ঘেরা রাঙামাটির সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসেন হাজারো পর্যটক। তবে, এবার সারাদেশ জুড়ে কোটা সংস্কার আন্দেলনের কারণে সৃষ্ট অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে পার্বত্য এই জেলায় কোনো পর্যটক নেই। ফলে রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতু, ডিসি বাংলো পার্ক, পলওয়েল পার্ক, সাজেক পর্যটনকেন্দ্র, কাপ্তাইয়ের প্রশান্তি পার্ক ও সুবলং ঝর্ণাসহ জেলার সব বিনোদন কেন্দ্রগুলো খালি পড়ে আছে। 

মেঘের বাড়ি খ্যাত পর্যটনকেন্দ্র সাজেক-এর কুড়েঘর রিসোর্টের ব্যবস্থাপক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘সাজেকের বেশিরভাগ কটেজ রিসোর্ট খালি পড়ে আছে। এখানে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা অলস সময় পার করছেন এখন।’

সাজেক কটেজ ও রিসোর্ট মালিক সমিতির সভাপতি সূপর্ণ দেব বর্মণ বলেন, ‘সাজেকে বর্তমানে ১১৬টি রিসোর্ট আছে। আজকে পর্যন্ত সাজেকে ১৫০ জনের মতো পর্যটক আছেন। যা তুলনামূলকভাবে অনেক কম।’

আরো পড়ুন:

ঝুলন্ত সেতু

এদিকে, রাঙামাটি শহরে স্থানীয়দের তৈরি হস্তশিল্পের বিভিন্ন পণ্যের বিক্রয়কেন্দ্র টেক্সটাইল মার্কেটগুলোতেও পর্যটক না থাকার প্রভাব পড়েছে। শহরের তবলছড়িস্থ টেক্সাটইল মার্কেটের ব্যবসায়ী অনুপম ত্রিপুরা বলেন, ‘আমরা সারা বছরই রাঙামাটিতে আগত পর্যটকদের ওপর নির্ভর করে থাকি। এখন পর্যটক না আসায় আমরা ব্যবসায়িকভাবে খুব ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি। আমাদের প্রতিদিন ১-২ হাজার টাকার লোকসান হচ্ছে।’

রাঙামাটি শহরের প্রাণকেন্দ্র বনরুপায় অবস্থিত ‘হোটেল নীডস হিল ভিউ’-এর ম্যানেজার মো. রাসেল বলেন, ‘প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে আমাদের এখানে অনেক পর্যটক আসেন। এবার সারা দেশজুড়ে কারফিউ এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক থাকায় পর্যটক নেই। আমাদের আর্থিকভাবে অনেক ক্ষতি হচ্ছে।’

রাঙামাটি শহরের আবাসিক হোটেল ‘হিল অ্যাম্বেসেডর’-এর ম্যানেজার রায়হান বলেন, ‘সারাদেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে গত সপ্তাহজুড়ে আমাদের হোটেল কোনো পর্যটক আসেননি। হোটেলের সবকটি রুম খালি।’

রাঙামাটি পর্যটন ট্যুরিষ্ট বোট মালিক সমিতির সহ-সভাপতি রমজান আলী বলেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দেলনের ফলে বর্ষা মৌসুমে রাঙামাটিতে কোনো পর্যটক নেই। রাঙামাটি পর্যটন ঘাটে আমাদের ১২০টি বোট রয়েছে। পর্যটন নৌযান ঘাটের শ্রমিক ও মালিকসহ প্রায় ২০০ মানুষ বেকার হয়ে পড়েছেন।’ 

রাঙামাটি পর্যটন করপোরেশনের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা বলেন, ‘রাঙামাটি পর্যটন মোটেলর সব রুম খালি। গত সপ্তাহ থেকে রাঙামাটিতে পর্যটক নেই। আমাদের দৈনিক ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি হচ্ছে।’

মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়