কোটা সংস্কার আন্দোলন
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে ঢাকায় নিহত আবু সাঈদের পরিবার
রংপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত আবু সাঈদ
কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী আবু সাঈদের মা মনোয়ারা বেগম ও বাবা মকবুল হোসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে ঢাকায় এসেছেন। শনিবার (২৭ জুলাই) বিষয়টি রাইজিংবিডিকে টেলিফোনে নিশ্চিত করেছেন নিহত আবু সাঈদের ভাই আবু হোসেন।
জানা গেছে, শনিবার সকাল ৮টার দিকে একটি বাসে রংপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন তারা। এসময় তাদের সঙ্গে ছিলেন নিহত আবু সাঈদের বড় ভাই আবু হোসেন, বড় বোন ও ভাগ্নে।
আবু সাঈদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বাবনপুর গ্রামে তার বাড়ি। মকবুল হোসেন ও মনোয়ারা বেগম দম্পতির ৯ সন্তানের মধ্যে আবু সাঈদ ছিলেন সবার ছোট।
আবু হোসেন টেলিফোনে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাদের সঙ্গে দেখাা করবেন এমন একটি বার্তা পাঠিয়েছেন রংপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) স্যার। আজ সকালে ডিসি স্যারের দেওয়া একজন ম্যাজিস্ট্রেটের সাথে আমরা ঢাকায় রওনা দেই। বাবা-মার সঙ্গে আমরা মোট পাঁচ জন এসেছি। বিকেল ৫টার দিকে আমরা ঢাকায় এসে পৌঁছেয়েছি। ম্যাজিস্ট্রেট স্যার ঢাকায় আমাদের থাকার ব্যবস্থা করেছেন। তিনি সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর রাখছেন। আশা করছি, রোববার (২৮ জুলাই) যেকোন সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের সাক্ষাৎ হবে।’
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে কী চাইবেন? এমন প্রশ্নে আবু হোসেন বলেন, ‘দেশের মানুষ আমাদের সঙ্গে আছেন এবং অনেক কিছু করেছেন। এজন্য সবার কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের চাওয়া থাকবে, আমার ভাইয়ের হত্যার যেন বিচার দ্রুত হয়। আমার ভাই বন্দুকের সামনে বুক পেতে নিহত হওয়ার পর সারা দেশে অনেক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন কোটা সংস্কার আন্দোলনে। তাই নিহত ওই ভাইদের হত্যার বিচার দাবি করবো আমরা। এর বাহিরে কিছু চাওয়া নেই আমাদের।’
রংপুরের জেলা প্রশাসক মোবাশ্বের হাসান বলেন, ‘আবু সাঈদের পরিবার চাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করতে। তাই আমরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাদের সাক্ষাতের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। আশা করছি, আগামীকাল (রোববার) সাক্ষাৎ হতে পারে। যেহেতু নিহত আবু সাঈদের বাবা-মাসহ পরিবারের কয়েকজন সদস্য ঢাকায় রওনা করেছেন, তাই যাত্রা পথে নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে নিয়মানুযায়ী তাদের সাথে একজন ম্যাজিস্ট্রেটও পাঠানো হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার নিয়ে সারা দেশে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অগ্রণী ভূমিকা ছিল আবু সাঈদের। সেখানে তিনি ছিলেন এই আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক। গত ১৬ জুলাই দুপুর ২টার দিকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক দিয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী ছাত্ররা মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশের চেষ্টা করেন। পুলিশ তাদের বাধা দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। একপর্যায়ে পুলিশের ছোড়া রাবার বুলেটে ক্ষতবিক্ষত হওয়ার পর মাটিতে লুটিয়ে পড়েন আবু সাঈদ। হাসপাতালে আনার আগেই মারা যান তিনি।
আমিরুল/মাসুদ
- ০ মাস আগে ৮ গুলি শরীরে নিয়ে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন সুজন
- ২ মাস আগে ‘সন্তান হত্যার ভিডিও দেখা নরকসম কষ্টের’
- ৩ মাস আগে ‘দেশ স্বাধীন হবেই, প্রয়োজনে শহিদ হব’
- ৩ মাস আগে নিহত তাওহীদকে শহিদ স্বীকৃতি দিতে পরিবারের দাবি
- ৩ মাস আগে আবু সাঈদ হত্যা মামলা পিবিআইতে স্থানান্তর
- ৩ মাস আগে ফরিদপুরে গ্রেপ্তার ৬৫ জন জামিনে মুক্ত
- ৩ মাস আগে যবিপ্রবিতে বিবৃতি দিয়ে ‘গণপদত্যাগ’ করেছেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা
- ৩ মাস আগে ফরিদপুরে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ কার্যালয়ে আগুন
- ৩ মাস আগে ধামরাইয়ে আন্দোলনকারী-আওয়ামী লীগের সংঘর্ষ, আহত ৭
- ৩ মাস আগে সরকারের পতন এখন সময়ের ব্যাপার: মিনু
- ৩ মাস আগে এক দফা দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে জাবি শিক্ষার্থীরা
- ৩ মাস আগে ফরিদপুরে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে ২ ছাত্রলীগ নেতার পদত্যাগ
- ৩ মাস আগে ঝালকাঠিতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষ, আহত ১৫
- ৩ মাস আগে অগ্নি সন্ত্রাসের বিচার দাবি হাবিপ্রবি শিক্ষকদের
- ৩ মাস আগে রংপুরে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া-সংঘর্ষ, নিহত ২