ঢাকা     রোববার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  পৌষ ৭ ১৪৩১

কোটা সংস্কার আন্দোলন

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে ঢাকায় নিহত আবু সাঈদের পরিবার

রংপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:৫৩, ২৭ জুলাই ২০২৪   আপডেট: ২২:৫৬, ২৭ জুলাই ২০২৪
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে ঢাকায়  নিহত আবু সাঈদের পরিবার

কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত আবু সাঈদ

কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী আবু সাঈদের মা মনোয়ারা বেগম ও বাবা মকবুল হোসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে ঢাকায় এসেছেন। শনিবার (২৭ জুলাই) বিষয়টি রাইজিংবিডিকে টেলিফোনে নিশ্চিত করেছেন নিহত আবু সাঈদের ভাই আবু হোসেন।

জানা গেছে, শনিবার সকাল ৮টার দিকে একটি বাসে রংপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন তারা। এসময় তাদের সঙ্গে ছিলেন নিহত আবু সাঈদের বড় ভাই আবু হোসেন, বড় বোন ও ভাগ্নে।

আবু সাঈদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বাবনপুর গ্রামে তার বাড়ি। মকবুল হোসেন ও মনোয়ারা বেগম দম্পতির ৯ সন্তানের মধ্যে আবু সাঈদ ছিলেন সবার ছোট।

আবু হোসেন টেলিফোনে বলেন, ‌‘প্রধানমন্ত্রী আমাদের সঙ্গে দেখাা করবেন এমন একটি বার্তা পাঠিয়েছেন রংপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) স্যার। আজ সকালে ডিসি স্যারের দেওয়া একজন ম্যাজিস্ট্রেটের সাথে আমরা ঢাকায় রওনা দেই। বাবা-মার সঙ্গে আমরা মোট পাঁচ জন এসেছি। বিকেল ৫টার দিকে আমরা ঢাকায় এসে পৌঁছেয়েছি। ম্যাজিস্ট্রেট স্যার ঢাকায় আমাদের থাকার ব্যবস্থা করেছেন। তিনি সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর রাখছেন। আশা করছি, রোববার (২৮ জুলাই) যেকোন সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের সাক্ষাৎ হবে।’

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে কী চাইবেন? এমন প্রশ্নে আবু হোসেন বলেন, ‘দেশের মানুষ আমাদের সঙ্গে আছেন এবং অনেক কিছু করেছেন। এজন্য সবার কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের চাওয়া থাকবে, আমার ভাইয়ের হত্যার যেন বিচার দ্রুত হয়। আমার ভাই বন্দুকের সামনে বুক পেতে নিহত হওয়ার পর সারা দেশে অনেক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন কোটা সংস্কার আন্দোলনে। তাই নিহত ওই ভাইদের হত্যার বিচার দাবি করবো আমরা। এর বাহিরে কিছু চাওয়া নেই আমাদের।’

রংপুরের জেলা প্রশাসক মোবাশ্বের হাসান বলেন, ‘আবু সাঈদের পরিবার চাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করতে। তাই আমরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাদের সাক্ষাতের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। আশা করছি, আগামীকাল (রোববার) সাক্ষাৎ হতে পারে। যেহেতু নিহত আবু সাঈদের বাবা-মাসহ পরিবারের কয়েকজন সদস্য ঢাকায় রওনা করেছেন, তাই যাত্রা পথে নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে নিয়মানুযায়ী তাদের সাথে একজন ম্যাজিস্ট্রেটও পাঠানো হয়েছে।’

প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার নিয়ে সারা দেশে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অগ্রণী ভূমিকা ছিল আবু সাঈদের। সেখানে তিনি ছিলেন এই আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক। গত ১৬ জুলাই দুপুর ২টার দিকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক দিয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী ছাত্ররা মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশের চেষ্টা করেন। পুলিশ তাদের বাধা দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। একপর্যায়ে পুলিশের ছোড়া রাবার বুলেটে ক্ষতবিক্ষত হওয়ার পর মাটিতে লুটিয়ে পড়েন আবু সাঈদ। হাসপাতালে আনার আগেই মারা যান তিনি।

আমিরুল/মাসুদ

ঘটনাপ্রবাহ

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়