ইন্টারনেট সেবা ব্যাহত
বেনাপোল বন্দরে ৫ দিনে রাজস্ব ঘাটতি ১৫০ কোটি টাকা
নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর || রাইজিংবিডি.কম
ফাইল ফটো
ইন্টারনেট সেবা ব্যাহত হওয়ায় বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে পাঁচ দিন ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ ছিলো। এর ফলে দেশের অন্যতম এই স্থলবন্দরে রাজস্ব ঘাটতি হয়েছে ১৫০ কোটি টাকা। রোববার (২৮ জুলাই) বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আন্তর্জাতিক-বিষয়ক সম্পাদক সুলতান মাহামুদ বিপুল এ তথ্য জানান।
এর আগে, সার্ভার বিকল থাকায় গত শনিবার (২০ জুলাই) থেকে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। সেসময় বাংলাদেশ এবং ভারত সীমান্তে বিভিন্ন ধরনের পণ্য নিয়ে আটকা পড়ে অসংখ্য ট্রাক। গত বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) ইন্টারনেট সেবা চালু হলে ভারতের পেট্রাপোল বন্দর থেকে পণ্যবাহী ট্রাক বেনাপোল স্থলবন্দরে প্রবেশ করতে শুরু করে। ফলে বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক হতে শুরু হয়।
ভারত থেকে পণ্য নিয়ে আসা ট্রাক চালক শ্রী কমলেন্দু বলেন, ‘ইন্টারনেট চালু হওয়ায় বেনাপোল বন্দরে পণ্য নিয়ে প্রবেশ করতে পেরেছি। গত পাঁচদিন (শনিবার থেকে বুধবার) ধরে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় কয়েক হাজার হাজার ট্রাক ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে দাঁড়িয়ে ছিল।’
সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ীরা জানান, সীমিত পরিসরে ইন্টারনেট সেবা চালু হওয়ায় আটকে থাকা পণ্য বন্দর থেকে খালাস শুরু হয়েছে।
পণ্য আমদানিকারক সোহেল রানা বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির শিকার হয়েছেন। জরুরি কাঁচামাল সরবরাহ বন্ধ থাকায় শিল্প কলকারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। বেকার হয়ে পড়েন শ্রমিকরা। অনেকের ধারণা, ব্যবসায়ীদের ১০০ কোটি টাকার কাছাকাছি ক্ষতি হয়েছে।’
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আন্তর্জাতিক-বিষয়ক সম্পাদক সুলতান মাহামুদ বিপুল বলেন, ‘প্রতিদিন বেনাপোল বন্দরে ভারত থেকে ৬০০ ট্রাক বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি হয়। ২০০ ট্রাক পণ্য ভারতে রপ্তানি হয়। আমদানি পণ্য থেকে দিনে সরকারের রাজস্ব আসে ৩০ কোটি টাকার মতো। গত পাঁচ দিন আমদানি বন্ধ থাকায় প্রায় ১৫০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে সরকার।’
বেনাপোল বন্দরের পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, ‘সার্ভার বিকল ছিল পাঁচ দিন। এ সময়ে দু-দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ ছিল। বন্দরে স্বাভাবিক বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়ে। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু হওয়ায় বাণিজ্যিক কার্যক্রম আবার স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।’
রিটন/মাসুদ