কোটা সংস্কার আন্দোলন
প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক সহায়তা পেলেন নিহত সাংবাদিক তুরাবের পরিবার
সিলেট প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
সাংবাদিক এটিএম তুরাব
কোটা সংস্কার আন্দোলনে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সিলেটে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাওয়া সাংবাদিক এটিএম তুরাবের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (২৮ জুলাই) গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে সহায়তার চেক গ্রহণ করেন তুরাবের বড় ভাই আবুল আহসান জাবুর। এসময় আন্দোলন চলাকালে সহিংসতায় নিহত আরও ৩৩ জনের পরিবারকেও সহায়তা দেওয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া আর্থিক সহায়তার মধ্যে ছিলো পারিবারিক সঞ্চয়পত্রের ১০ লাখ টাকার চেক ও নগদ ৫০ হাজার টাকা।
নিহত এটিএম তুরাব দৈনিক নয়া দিগন্তের সিলেটের প্রতিনিধি ছিলেন।
সাংবাদিক এটিএম তুরাবের বড় ভাই আবুল আহসান জাবুর বলেন, ‘শনিবার সিলেটের জেলা প্রশাসক আমাদের খবর দেন। এরপর সরকারি খরচে উড়োজাহাজের মাধ্যমে আমরা ঢাকায় পৌঁছাই। আজ (রোববার) দুপুরে গণভবনে আমার হাতে প্রধানমন্ত্রী নগদ ৫০ হাজার টাকা ও সঞ্চয়পত্রের ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেন।’
আরও পড়ুন: সিলেটে ফটো সাংবাদিক নিহতের ঘটনায় থানায় অভিযোগ
এর আগে, গত বুধবার (২৪ জুলাই) রাতে সিলেট মেট্রোপলিটন (এসএমপি) কোতোয়ালী মডেল থানায় সিলেটের সাংবাদিকদের প্রতিনিধিত্বশীল সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে নিয়ে লিখিত এজাহার দাখিল করেন নিহত তুরাবের বড় ভাই আবুল হাসান মো. আজরফ (জাবুর আহমদ)। এজাহারের কপি গ্রহণ করেন সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার আজবাহার আলী শেখ ও কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন শিপন।
তুরাবের বড় ভাই লিখিত এজাহারে উল্লেখ করেন, গত শুক্রবার (১৯ জুলাই) দুপুর ১ টা ৫৫ মিনিটের সময় পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য কোর্টপয়েন্টে অবস্থান করেন তুরাব। জুমার নামাজের পর বাংলাদেশ বিএনপির মিছিল শুরু করলে তুরাব মিছিলের পেছনে অন্যান্য সহকর্মীসহ অবস্থান নেয়। মিছিলটি পুরান লেন গলির মুখে পৌঁছলে সশস্ত্র পুলিশ বিপরীত দিক থেকে অবস্থান নেয়। হঠাৎ লাগাতার গুলিবর্ষণের শব্দ শুনে তখন আমার ভাই তুরাব বলে, ‘আমাকে বাচাঁও আমাকে মেরে ফেলছে। আমার চোখে মুখে গুলি লেগেছে।’ একথা বলেই তিনি মটিতে লুটিয়ে পড়ে অজ্ঞান হয়ে যান। তখন সাথী ও পথচারীরা তাকে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যান। কিন্তু সেখানে কর্তব্যরত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় তার শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সোবহানীঘাট ইবনে সিনা হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। উক্ত হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা আপ্রাণ চেষ্টা করেও তাকে বাঁচাতে পারেননি। চিকিৎসারত অবস্থায় সেদিন সন্ধ্যা ৬টা ৪৪ মিনিটে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
নূর/মাসুদ
- ১ মাস আগে একমাত্র উপার্জনক্ষম ছেলেকে হারিয়ে দিশেহারা হাফিজুলের বাবা
- ২ মাস আগে ৮ গুলি শরীরে নিয়ে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন সুজন
- ৪ মাস আগে ‘সন্তান হত্যার ভিডিও দেখা নরকসম কষ্টের’
- ৫ মাস আগে ‘দেশ স্বাধীন হবেই, প্রয়োজনে শহিদ হব’
- ৫ মাস আগে নিহত তাওহীদকে শহিদ স্বীকৃতি দিতে পরিবারের দাবি
- ৫ মাস আগে আবু সাঈদ হত্যা মামলা পিবিআইতে স্থানান্তর
- ৫ মাস আগে ফরিদপুরে গ্রেপ্তার ৬৫ জন জামিনে মুক্ত
- ৫ মাস আগে যবিপ্রবিতে বিবৃতি দিয়ে ‘গণপদত্যাগ’ করেছেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা
- ৫ মাস আগে ফরিদপুরে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ কার্যালয়ে আগুন
- ৫ মাস আগে ধামরাইয়ে আন্দোলনকারী-আওয়ামী লীগের সংঘর্ষ, আহত ৭
- ৫ মাস আগে সরকারের পতন এখন সময়ের ব্যাপার: মিনু
- ৫ মাস আগে এক দফা দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে জাবি শিক্ষার্থীরা
- ৫ মাস আগে ফরিদপুরে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে ২ ছাত্রলীগ নেতার পদত্যাগ
- ৫ মাস আগে ঝালকাঠিতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষ, আহত ১৫
- ৫ মাস আগে অগ্নি সন্ত্রাসের বিচার দাবি হাবিপ্রবি শিক্ষকদের