গাইবান্ধায় এখনও নিখোঁজ ডুবে যাওয়া ৩ শ্রমিক
গাইবান্ধা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তিস্তা নদীতে নৌকাডুবির একদিন পেরিয়ে গেলেও এখনো খোঁজ মেলেনি তিন শ্রমিকের। নৌকাডুবির ঘটনায় আহত হয়েছেন ৯ জন।
শনিবার (২৭ জুলাই) বিকেলে উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের বাবুবাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহতরা গাইবান্ধা সদর হাসপাতাল ও রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
নিখোঁজ শ্রমিকরা হলেন- গাইবান্ধা সদর উপজেলার গিদারী গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে আতোয়ার রহমান (৪২), একই গ্রামের আব্দুল জোব্বারের ছেলে আব্দুর রশিদ (৪০) এবং তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে রাজু মিয়া (৩৫)।
গাইবান্ধা ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক জাকির হোসেন জানান, শনিবার বিকেলে উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের বাবুবাজার হতে নৌকা যোগে ব্লক (বোল্ডার) নিয়ে নদীর ওপারে যাচ্ছিলেন ২৮ জন শ্রমিক। সেখানে নদী ভাঙন রোধে কাজ চলছে। যাওয়ার সময় নদীর তীর হতে ৫০ মিটার দূরে গিয়ে প্রবল স্রোতে নৌকাটি ডুবে যায়। ২৮ জন শ্রমিকের মধ্যে ২৫ জন শ্রমিক সাঁতার কেটে নদীর তীরে উঠে আসেন। এ ঘটনায় তিনজন নিখোঁজ হন।
আরও পড়ুন : গাইবান্ধায় নৌকা ডুবে ৩ শ্রমিক নিখোঁজ, আহত ৯
তিনি আরও জানান, গতকাল থেকে আজ রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত নিখোঁজ তিন শ্রমিককে উদ্ধারে রংপুর ফায়ার সার্ভিসের ৪ সদস্যের ডুবুরি দলসহ গাইবান্ধা ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট কাজ করছে। ডুবে যাওয়া নৌকাটি সনাক্ত করা গেলেও নিখোঁজদের সন্ধান পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, নৌকায় প্রায় ৫০০ ব্লক ছিল। ব্লকের চাপে নৌকাটি দুমড়ে মুচড়ে নদীতে ডুবে যায়। এসময় নিখোঁজ তিন শ্রমিক ব্লকের নিচে চাপা পড়ে থাকতে পারে। আগামীকাল আবারও উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা হবে।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘নিখোঁজ তিন শ্রমিকদের উদ্ধারে গতকাল থেকে আজ পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট কাজ করেছে। এখনো তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। নিখোঁজ শ্রমিকদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। আমাদের পাশাপাশি পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে তাদেরকে সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।’
মাসুম লুমেন/সনি