ঢাকা     রোববার   ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২৯ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

মাদারীপুর জেলা আ.লীগ অফিসে হামলা হয় দুই দফায়

মাদারীপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:৫০, ২৯ জুলাই ২০২৪   আপডেট: ১০:০২, ২৯ জুলাই ২০২৪
মাদারীপুর জেলা আ.লীগ অফিসে হামলা হয় দুই দফায়

বিক্ষুব্ধরা জেলা আ.লীগের কার্যালয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালান। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে পুরান বাজারে

কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ সংঘটিত হয়েছে মাদারীপুরে। দুষ্কৃতকারীরা সরকারি-বেসরকারি ১০টি স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এছাড়াও জেলা আওয়ামী লীগ অফিসে দুই দফায় হামলা করে নাশকতাকারীরা। গত ১৮ জুলাই দুপুরে ও সন্ধ্যার দিকে এই হামলার ঘটনা ঘটে। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৮ জুলাই বৃহস্পতিবার শহরে ইউ আই স্কুল থেকে কোটা সংস্কারের দাবিতে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে আন্দোলনকারীরা। মিছিলটি শহরের ডিসি ব্রিজ এলাকা পার হয়ে জেলা প্রশাসকের বাসভবনের সামনের দিকের সড়কে গেলে বাধার সম্মুখিন হন। আন্দোলনকারীদের দাবি তাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে ছাত্রলীগ ও পুলিশ হামলা করে। হামলার পরে পালাতে গিয়ে পাশের লেকের পানিতে পড়ে দীপ্ত দে নামে এক কলেজ ছাত্র নিখোঁজ হয়। পরে ফায়ার সার্ভিস এসে দুই ঘণ্টা চেষ্টা করে দীপ্তর মরদেহ উদ্ধার করে। এই ঘটনা পুরো জেলায় ছড়িয়ে পড়ে। এতে উত্তেজিত হয়ে পড়ে স্থানীয় ছাত্র-জনতা। এরপরই ঘটে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকরি দপ্তরে হামলার ঘটনা। দুপুর দেড়টার দিকে মাদারীপুর শহরের পুরান বাজার এলাকার জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে হামলা চালানো হয়। ভেঙে ফেলা হয় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের বিভিন্ন আসবাবপত্র। এরপর সন্ধ্যার দিকে শহরের পুরান বাজার এলাকার গুরুত্বপূর্ণ সিসি ক্যামেরা ভেঙে ফেলা হয়। পরে দ্বিতীয় দফায় হামলা চালিয়ে ভেঙে ফেলা হয় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের দরজা, জানালা ও শেখ মুজিবুর রহমানের স্ট্যাচু। এ ঘটনায় জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে অর্ধশতাধিক হামলাকারীকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়। 

মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের অফিস সহকারী মিন্টু দরজী বলেন, ঘটনার দিন দুপুরে আমি অফিসে ছিলাম। দেখি কয়েকশ মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে ধেয়ে আসছে। পরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। আমি প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে যাই। এমন ঘটনা আমার জীবনে দেখিনি। 

মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক বাবু শরীফ বলেন, ১৯৪৯ সালে মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের এই কার্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়। এরপর দীর্ঘদিনেও এমন হামলার ঘটনা ঘটেনি। কেউ সাহস করেনি হামলা করতে। কেন আমাদের অফিসে এমন হামলা হলো? আমাদের অফিসের বিরুদ্ধে কোনো চাঁদাবাজির রেকর্ড নেই। তবুও কেন হামলা হলো? আমরা এর কঠোর বিচার চাই। 

মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র খালিদ হোসেন ইয়াদ বলেন, জামায়াত-বিএনপি পরিকল্পিত ভাবে মাদারীপুরের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরে হামলা করেছে। আওয়ামী লীগ অফিসে দুই দফায় হামলা চালিয়েছে। আমরা তদন্ত করে বিচার দাবি করছি।

মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাহাবুদ্দিন আহমেদ মোল্লা বলেন, এমন সহিংস ঘটনা আমি আমার জীবনে দেখিনি। যারা এই হামলায় জড়িত তাদের কঠোর শাস্তি দাবি করছি।

মাদারীপুর সদর থানায় ওসি এএইচএম সালাহউদ্দিন বলেন, এই ঘটনায় মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে আসামিদের।

রিজভী/ইমন

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়