ঢাকা     শনিবার   ১১ জানুয়ারি ২০২৫ ||  পৌষ ২৭ ১৪৩১

নাইমার রক্তভেজা পোশাক এখনও আঁকড়ে রেখেছে পরিবার

অমরেশ দত্ত জয়, চাঁদপুর  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:২৩, ৩০ জুলাই ২০২৪  
নাইমার রক্তভেজা পোশাক এখনও আঁকড়ে রেখেছে পরিবার

ঢাকার উত্তরায় গত ১৯ জুলাই শুক্রবার বিকেলে নিজ বাসায় চারতলার বারান্দায় গুলিতে নিহত হয় মাইলস্টোন স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী নাইমা আক্তার সুলতানা (১৫)। তার রক্তভেজা পোশাক এখনও আঁকড়ে রেখেছে পরিবার। তার এই পোশাক ও অন্যান্য জিনিসপত্র ছুঁয়ে বারবার মুর্ছা যাচ্ছেন মা আইনুন্নাহার বেগম।

কী অপরাধে কারা এভাবে আমার মেয়েটাকে মারল। আশা ছিল মেয়েটাকে ডাক্তার বানাবো। এখন সব শেষ। কার কাছে বিচার চাইবো। আমি অনে কী নিয়া বাঁচুম? কান্নাভেজা কণ্ঠে বলছিলেন নিহত নাইমা সুলতানার  মা আইনুন্নাহার বেগম। 

মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) দুপুরে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার নাইমা সুলতানার বাড়িতে গেলে গণমাধ্যমকর্মীদের দেখে প্রতিবেশিরাও কান্নায় ভেঙে পড়েন।

নাইমা মতলব উত্তর উপজেলার সুলতানাবাদ ইউনিয়নের আমুয়াকান্দা গ্রামের হোমিও চিকিৎসক গোলাম মোস্তফা দেওয়ানের মেয়ে।

নাইমার বাবা ও মা বাড়িতে ছিলেন না। আত্মীয় বাড়িতে আছেন তারা। মুঠোফোনে কথা হয় তাদের সঙ্গে।

বাবা গোলাম মোস্তফা জানান, গত শুক্রবার বিকাল ৫টায় তার বাসার পাশে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে   গোলাগুলি চলছিল। নাইমা ওই সময় সেটি দেখার জন্য ঘরের বারান্দায় গিয়ে উঁকি মারে। হঠাৎ একটি গুলি এসে তার মাথায় লাগে নাইমার। সঙ্গে সঙ্গে মেঝেতে লুটিয়ে পড়ে সে। সেখান থেকে স্বজনরা তাকে উত্তরার একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। গত ২০ জুলাই আমুয়াকান্দা গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়।

জানা যায়, মা আইনুন্নাহার বেগম তিন ছেলেমেয়েকে নিয়ে ঢাকার উত্তরার ৫ নম্বর সড়কের একটি ভাড়া বাসায় থাকেন। দুই বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে নাইমা মেজো। তার বড় বোন তাসফিয়া সুলতানাও ঢাকার মাইলস্টোন কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ে। ছোট ভাই আবদুর রহমান ঢাকার উত্তরা এলাকায় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ে। 

এ বিষয়ে গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন সুলতানাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক খোকন। তিনি নিহতের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।

/টিপু/


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়