জামায়াতের ভূমিকা এখনো দেশদ্রোহিতামূলক: গণপূর্ত মন্ত্রী
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী
গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেছেন, ‘১৯৭১ সালে জামায়াতে ইসলামীর ভূমিকা ছিলো দেশদ্রোহিতামূলক। সেই ভূমিকা থেকে তারা এখনো সরে আসেনি। তাদের ভূমিকা এখনো দেশদ্রোহিতামূলক। তাই তাদের নিষিদ্ধ করার যে প্রচেষ্টা তা যথার্থ। জামায়াত একমাত্র দল, যে দল থেকে সবচেয়ে বেশি যুদ্ধাপরাধীর সাজা হয়েছে।’
বুধবার (৩১ জুলাই) দুপুরে মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও সফল মৎস্য চাষিদের মধ্যে পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।
কোটা সংস্কার আন্দোলন প্রসঙ্গ মন্ত্রী বলেন, ‘আমি যদি স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি, তাহলে আমি নিজেকে কখনোই রাজাকার হিসেবে পরিচয় দিতে পারি না। আমি যদি আইনের শাসনে বিশ্বাসী হই, তাহলে সব মামলা তুলে নেওয়ার কথা বলতে পারি না। আইনের শাসনে যদি বিশ্বাসী হই, তাহলে সব হত্যাকাণ্ডের বিচার হোক সেটা আমি বলবো। মুষ্টিমেয় কিছু নয়, সব হত্যার বিচার দাবি করব। হত্যাকারী যারাই হোক তাদের সবার আমি বিচার দাবি করব। হত্যাকারীদের খুঁজে বের করতে হলে মামলা করতে হবে, এর কোনো বিকল্প নেই।’
তিনি বলেন, ‘আজকে যদি ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ হয়, আমি বলব ঠিক আছে তারা করুক। কোনো অসুবিধা নেই। কিন্তু তাদের কাছে আমার প্রশ্ন, আপনি যখন মার্চ ফর জাস্টিস করবেন, তখন অবশ্যই আপনি দাবি করবেন সব হত্যাকাণ্ডের যেন বিচার হয়।
র আ ম উবায়দুল মোকতাদির বলেন, ‘যারা ধর্মের ভিত্তিতে রাজনীতি করেন, তারা করুক। কিন্তু সাম্প্রদায়িক দল, যারা সাম্প্রদায়িকতাকে পুঁজি করে রাজনীতি করে, সেই দলগুলোকে বন্ধ করার কথা উঠেছে। জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করার যে প্রচেষ্টা এটাকে আমি স্বাগত জানাই।’
মৎস্য সপ্তাহের আলোচনা সভায় মন্ত্রী বলেন, ‘সামুদ্রিক মাছ আহরণে আমাদের দেশ এখনো পিছিয়ে আছে। সমুদ্র থেকে মৎস্য আহরণে মোটা অঙের অর্থ বিনিয়োগ করতে হয়। আমাদের জেলেদের সেই সক্ষমতা নেই। অর্থ বিনিয়োগে সক্ষম করে জেলেদেরকে গড়ে তোলার জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে।’
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অন্যদের মধ্যে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, পৌরসভার মেয়র নায়ার কবীর, সিভিল সার্জন মো. বেলায়েত হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেন শোভন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, জেলা মৎস্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় নদী, খাল, বিল, পুকুরসহ বিভিন্ন জলাশয় মিলিয়ে ৭২ হাজার ৮৬৩ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন হয়েছে। যা জেলায় চাহিদা মেটাতে সক্ষম। এছাড়া, একই অর্থবছরে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে জেলায় উৎপাদিত ১৯০ কোটি টাকার মাছ ভারতে রপ্তানি করা হয়েছে।
মাইনুদ্দীন/মাসুদ