ঢাকা     শনিবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৫ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩২

বরিশালে পুলিশের লাঠিচার্জে ৪ সাংবাদিক আহত

বরিশাল সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:১৮, ৩১ জুলাই ২০২৪   আপডেট: ২২:২২, ৩১ জুলাই ২০২৪
বরিশালে পুলিশের লাঠিচার্জে ৪ সাংবাদিক আহত

হাতে ক্যামেরা থাকা সত্ত্বেও যুগান্তরের ফটো সাংবাদিক শামীম আহম্মেদকে পেটায় পুলিশ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচিতে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বরিশালে পুলিশের লাঠিচার্জে চার সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তারা বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। বুধবার (৩১ জুলাই) নগরীর সদর রোডে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জের ছবি তুলতে গেলে তাদের ওপর হামলা হয়।

হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া সাংবাদিকরা হলেন- এনটিভির ক্যামেরাপার্সন গোবিন্দ সাহা, যমুনা টেলিভিশনের ক্যামেরাপার্সন হৃদয় চন্দ্র শীল এবং বার্তা টোয়েন্টিফোর ডটকমের জেলা প্রতিনিধি এসএলটি তুহিন এবং দৈনিক যুগান্তরের ফটো সাংবাদিক শামীম আহম্মেদ।

আহত দৈনিক যুগান্তরের ফটো সাংবাদিক শামীম আহম্মেদ বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জের সময় আমি মাটিতে পড়ে যায়। আমার হাতে ক্যামেরা থাকা সত্ত্বেও পুলিশ আমাকে লাঠিপেটা করে। আজকের ঘটনায় পুলিশ মোটেও পেশাদার আচরণ করেনি। উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমাদের ওপর হামলা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।’

আরো পড়ুন:

আহত বার্তা টোয়েন্টিফোর ডটকমের জেলা প্রতিনিধি এসএলটি তুহিন বলেন, ‘আমরা অনেক সাংবাদিক একসঙ্গেই ছিলাম। শিক্ষার্থীদের লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করার সময় আমাদেরও পেটানো শুরু করে। আমি পায়ে আঘাত পেয়েছি। শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নিয়েছি।’

বরিশাল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি স্বপন খন্দকার বলেন, ‘সাংবাদিকদের ওপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ নিন্দনীয় কাজ করেছে। সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের নিরাপত্তা পুলিশকেই নিশ্চিত করতে হবে। তাদের এমন আচরণ আমরা প্রত্যাশা করি না।’

বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটি’র সভাপতি নজরুল বিশ্বাস বলেন, ‘দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জের নিন্দা জানাচ্ছি। ঘটনার ভিডিও আমি দেখিছি। আমার মনে হয়েছে বিনা কারণে এবং উদ্দেশ্যমূলকভাবে সাংবাদিকদের পিটিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তা ও তার ইউনিট। এভাবে পুলিশ লাঠিচার্জ করার এখতিয়ার রাখে না। যে পুলিশ কর্মকর্তার ইউনিট সাংবাদিকদের পিটিয়েছে সেই কর্মকর্তাসহ লাঠিচার্জকারী পুলিশ সদস্যদের প্রত্যাহার দাবি করছি।’

বরিশাল প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কাজী আল মামুন বলেন, ‘সাংবাদিকদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনার নিন্দা জানাচ্ছি। এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’

ঘটনাস্থলে দায়িত্বে থাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) তানভীর আরাফাত ‌বলেন, ‌‘পুলিশ সংবাদিকের প্রতিপক্ষ নয়। ইচ্ছাকৃতভাবে সাংবাদিকদের ওপর লাঠিচার্জ করা হয়নি।’

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার জিহাদুল কবির বলেন, ‘বিষয়টি দুঃখজনক। এ ধরনের ঘটনা প্রত্যাশিত নয়। তদন্ত করে ঘটনার সঙ্গে জড়িত যারা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

আরিফুর/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়