থানায় ১০ ঘণ্টা অবস্থান নিয়ে শিক্ষকরা ৩ শিক্ষার্থীকে ছাড়িয়ে আনলেন
রাজশাহী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
আটক হওয়া তিন ছাত্রকে ছাড়িয়ে নিতে থানায় টানা প্রায় ১০ ঘণ্টা অবস্থান করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কিছু শিক্ষক। আর শেষ পর্যন্ত তাদের ছাড়িয়েও এনেছেন তারা।
বুধবার (৩১ জুলাই) দিবাগত রাত ১টার দিকে মহানগরীর মতিহার থানায় এ ঘটনা ঘটে।
আটক তিনজন হলেন- ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী সৈয়দ সামিউল বাসিত ও মাজেদ হাসান এবং শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী নাইম ইসলাম।
বুধবার (৩১ জুলাই) দুপুরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারের সামনে থেকে বাসিত ও মাজেদ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে থেকে নাইমকে আটক করে মতিহার থানা পুলিশ। সেই খবর জানাজানির পরই বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক আ-আল মামুন, সহযোগী অধ্যাপক সেলিম রেজা নিউটন ও কাজী মামুন হায়দার, নাট্যকলা বিভাগের অধ্যাপক হাবিব জাকারিয়া ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক রোবাইদা আখতার, ইনস্টিটিউট অব ইংলিশ অ্যান্ড আদার ল্যাঙ্গুয়েজের পরিচালক অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন, ফোকলোর বিভাগের অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম কনকসহ অন্তত ২০ জন শিক্ষক প্রায় ১০ ঘণ্টা থানায় অবস্থান নিয়ে ওই তিন শিক্ষার্থীকে ছাড়িয়ে আনেন।
রাজশাহী মহানগরীর মতিহার থানার আটকবস্থা থেকে ওই তিন শিক্ষার্থীকে মুক্ত করার পর অবস্থান করা বেশ কয়েকজন শিক্ষক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তা পোস্ট করে সবাইকে জানান।
থানায় অবস্থানকারী শিক্ষক আমিরুল ইসলাম বলেন, তাদের কাছে মনে হয়েছে সন্দেহবশত: সাধারণ শিক্ষার্থীকে আটকের ঘটনা এক ধরনের হয়রানি। যা কারও কাম্য নয়। তাই এই বিষয়ে সরকারকে আরও নমনীয় হওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি।
তবে রাজশাহীর মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোবারক পারভেজ জানান, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরসহ নানা বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে রাস্তায় ব্যাগ নিয়ে সন্দেহভাজন অবস্থায় ঘোরাফেরা করতে দেখে এ ধরনের অপরাধ ঘটাতে পারে মর্মে যথেষ্ট সন্দেহ হওয়ায় তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের তিনজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আর অন্য কিছু নয়। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দেশের অন্যতম এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
কেয়া/টিপু