ঢাকা     রোববার   ১২ জানুয়ারি ২০২৫ ||  পৌষ ২৮ ১৪৩১

উপকূলে আজও ঝরছে বৃষ্টি, বন্দরে সতর্কতা বহাল

পটুয়াখালী (উপকূল) প্রতিনিধি  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৫৮, ২ আগস্ট ২০২৪   আপডেট: ১১:০৩, ২ আগস্ট ২০২৪
উপকূলে আজও ঝরছে বৃষ্টি, বন্দরে সতর্কতা বহাল

সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে পটুয়াখালীতে আজও বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। গত এক সপ্তাহ ধরে গুঁড়ি গুঁড়ি থেকে মাঝারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) সকাল ৯টা থেকে শুক্রবার (২ আগস্ট) সকাল ৯টা পর্যন্ত জেলার কলাপাড়া উপজেলায় ১৫২.৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। 

টানা বৃষ্টিতে জনজীবনে ভোগান্তি নেমে এসেছে। বেলা বাড়লেও বাজারগুলোতে মানুষের চলাফেরা খুবই কম। বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে অসংখ্য মাছের ঘের ও পুকুর। বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে বাসা বাড়িতেও পানি প্রবেশ করেছে। খাল বিল পানিতে একাকার হয়ে গেছে। এসব এলাকার মানুষের চলাচলে ব্যাপক দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও দুশ্চিন্তায় পড়েছেন এ জেলার চাষিরাও। পানিতে তলিয়ে গেছে জেলার অনেক সবজি ক্ষেত। 

এদিকে সুস্পষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। বড় বড় ঢেউ তীরে আছড়ে পড়ছে। উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় পায়রাসহ সব সমুদ্র বন্দর সমূহকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। সকল মাছ ধরার ট্রলারসমূহকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। এছাড়াও পটুয়াখালীসহ দেশের ১৬ নদী বন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। 

কলাপাড়া পৌর শহরের চিংগড়িয়া এলাকার বাসিন্দা নাহিদ পারভেজ জানান, আমাদের এখানে এতো বৃষ্টি হয়েছে যে কোনটা খাল আর কোনটা বিল সেটা বোঝার উপায় নেই। বৃষ্টিতে সব একাকার হয়ে গেছে। অনেক নিচু স্থানে পানি জমে ঘরবাড়িতেও ঢুকে গেছে। গত এক সপ্তাহ ধরে চরম ভোগান্তিতে রয়েছি। 

নীলগঞ্জ ইউনিয়নের কৃষক কামাল হোসেন জানান, আমাদের এলাকায় এ বছর প্রচুর পরিমাণে করলার চাষ হয়েছে। বাম্পার ফলনে আমরা অনেকটা উচ্ছ্বসিত ছিলাম। বৃষ্টির কারণে চরম ক্ষতির শঙ্কায় রয়েছি। ইতিমধ্যে গাছের গোরায় পানি জমাট বেঁধেছে। বৃষ্টি চলতে থাকলে সব গোঁড়া নষ্ট হয়ে যাবে। 

কলাপাড়া ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল জব্বার জানান, আগামী ৭২ ঘণ্টা বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। সেই সঙ্গে উপকূলীয় এলাকায় দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

ইমরান/ইমন


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়