ঢাকা     রোববার   ১২ জানুয়ারি ২০২৫ ||  পৌষ ২৮ ১৪৩১

নিজ গ্রামে সমাহিত খুলনায় নিহত পুলিশ সদস্য সুমন ঘরামী

বাগেরহাট প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:০৮, ৩ আগস্ট ২০২৪  
নিজ গ্রামে সমাহিত খুলনায় নিহত পুলিশ সদস্য সুমন ঘরামী

খুলনায় কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত পুলিশ সদস্য সুমন কুমার ঘরামীর লাশ বাগেরহাটের নিজ গ্রামের বাড়িতে সমাহিত করা হয়েছে। 

শনিবার (৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার কিসমত মালিপাটন গ্রামে তাকে সমাহিত করা হয়।

এর আগে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে মৃতদেহ সুমনের বাড়িতে পৌঁছায়। পরে সেখানে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সুমনকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। গার্ড অব অনার শেষে সন্ধ্যায় নিজ বাড়িতে সুমনকে সমাহিত করা হয়। সুমনের বাবা-মায়ের ইচ্ছায় ছেলেকে দাহ না করে মাটি চাপা দেওয়া হয়।

নিহত সুমন কুমার ঘরামি কচুয়া উপজেলার কিসমত মালিপাটন গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা সুশীল কুমার ঘরামীর ছেলে। তিনি খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার (সোনাডাঙ্গা জোন) এর দেহরক্ষী হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন। সুমন তার স্ত্রী ও পাঁচ বছর বয়সী একমাত্র মেয়ে স্নিগ্ধা ঘরামীকে নিয়ে খুলনার পূজাখোলা এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। খুলনায় শুক্রবার (২ আগস্ট) কোটা আন্দোলনে সংঘর্ষের সময় নিহত হন তিনি। 

সুমনকে গার্ড অব অনার দেওয়া ও সমাহিত করার সময় বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মাসুদ রানা, কচুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান বাবু, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাখী ব্যানার্জী, কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহসিন হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুল ইসলামসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

সুমনের মা গীতা রাণী বিলাপ করতে করতে বলেন, ‘এত ছবি তুলে কী হবে? আমার ছেলেকে কি ফিরিয়ে দিতে পারবা? তোমরা এত ছবি তুলছ কেন?

সুমনের বোন সুমা ঘরামি বলেন, ‘কারা মারল আমার ভাইকে? আমাদের পরিবারকে ধ্বংস করে দিল।’ 

প্রতিবেশী ও সুমনের বন্ধু সমর কৃষ্ণ ঘরামী বলেন, ‘আমরা একসাথে এসএসসি পাস করেছি। এসএসসি পাশ করে পুলিশে যোগদান করে সে। তার এই মৃত্যু আমরা কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না।’

সুমনের বন্ধু রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সুমন অনেক ভাল মানুষ ছিল। সে সব সময় শ্রেণিকক্ষ মাতিয়ে রাখত। তার মৃত্যুতে আমরা খুবই কষ্ট পেয়েছি।’

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতিটি মৃত্যুই কষ্টের। খুলনায় সে তার দায়িত্ব পালন করার সময় হামলায় মারা গেছে। যারা সুমনকে হত্যা করেছে, তাদের বিচার দাবি করছি।’

শহিদুল ইসলাম/সনি

ঘটনাপ্রবাহ

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়