নীলফামারীতে আসাদুজ্জামান নূরের বাড়ি ভাঙচুর
নীলফামারী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
নীলফামারীতে সংসদ সদস্য ও সাবেক সংস্কৃতি মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান নূরের বাড়ি ও আওয়ামী লীগ কার্যালয় ভাঙচুর করেছে আন্দোলনকারীরা। রোববার (৪ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১১টার থেকে হামলার ঘটনাগুলো ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, আন্দোলনকারীরা শহরের বড় বাজার এলাকা থেকে মিছিল বের করে। মিছিলটি চৌরঙ্গী মোড় হয়ে জেলা প্রশাসক চত্বরে অবস্থান নেয়। এ সময় ডিসি অফিসসহ বিভিন্ন স্থাপনায় ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে আন্দোলনকারীরা। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এ সময় অন্তত ২৫ জন আহত হন।
আন্দোলনকারীরা সেখান থেকে পিছু হটে আবার চৌরঙ্গী মোড়ে অবস্থান নিয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করে। পরে আন্দোলনকারীরা সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূরের ফুড অফিসের বাসভবনে প্রবেশ করে ভাঙচুর করে। এ সময় ১০টি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
এদিকে, জলঢাকা, ডোমার ও সৈয়দপুরেও বিক্ষোভ করেছেন আন্দোলনকারীরা। সৈয়দপুরে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে।
সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ‘আন্দোলন থেকে নামে আমার বাড়ি ভাঙচুর হওয়ার কথা নয়। যদি ছাত্ররা এই কাজ করে থাকেন, তাহলে তাঁদের কেউ মিসগাইড করেছে। আমি ছাত্রদের ছাত্র হিসেবেই দেখি। আমার বাড়ি ভাঙচুর হওয়াকে কেন্দ্র করে যাতে আর কোনো প্রতিহিংসামূলক ঘটনা না ঘটে, সেটাই আমি বলব। আমি চাই নীলফামারীতে শান্তি বজায় থাকুক।’
নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা আব্দুর রহিম বলেন, সংঘর্ষে আহত ১২ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে দুই জনকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।’
নীলফামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বলেন, ‘আন্দোলনকারীদের শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানানো হয়েছে। আমরা ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।’
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম বিকেলে বলেন, ‘বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। রাবার বুলেট, কাঁদানে গ্যাসের শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।’
সিথুন/মাসুদ