ঢাকা     বুধবার   ০৬ নভেম্বর ২০২৪ ||  কার্তিক ২২ ১৪৩১

সোনাইমুড়ী থানায় হামলা, চার পুলিশসহ নিহত ৭

নোয়াখালী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:২৪, ৬ আগস্ট ২০২৪  
সোনাইমুড়ী থানায় হামলা, চার পুলিশসহ নিহত ৭

সোনাইমুড়ী থানা।

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী থানায় হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৪ পুলিশসহ অন্তত ৭ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সোমবার (৫ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টার দিকে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এসব তথ্য নিশ্চিত করেন নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান ও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন।

নিহত চার পুলিশ সদস্যদের পরিচয় জানা গেলেও অপর নিহতদের পরিচয় জানাতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তারা হলেন- এএসআই মো. নাছির, এসআই মো. বাছির, কনস্টেবল মোশারফ ও গিয়াস। এছাড়াও সোনাইমুড়ী থানার ওসি বখতিয়ার উদ্দিনের হাত-পা ভাঙা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বিকেলের দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সমর্থনকারীরা সোনাইমুড়ী বাইপাস এলাকায় জড়ো হন। এরপর তারা সেখানে আনন্দ উল্লাস করতে থাকেন। সন্ধ্যার দিকে আনন্দ মিছিলের একটি অংশ সোনাইমুড়ী থানায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে একজন নিহত হন। এরপর উত্তেজিত জনতা সংঘবদ্ধ হয়ে থানা ঘেরাও করে হামলা-ভাঙচুর চালালে অনেকেই গুলিবিদ্ধ হন। পরবর্তীতে উত্তেজিত জনতা থানা ভবনে আগুন ধরিয়ে দেন। এ সময় আরও শতাধিক লোক আহত হন। আহতদের মধ্যে ৩৪ জন ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এর মধ্যে এক পুলিশ সদস্যও রয়েছে বলেও জানা যায়।  

২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, সন্ধ্যার দিকে ৩৭ জনকে গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এর মধ্যে ৩ জনকে হাসপাতালে মৃত অবস্থায় আনা হয়। বর্তমানে ৩৪ জন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। আহতদের বেশির ভাগই সোনাইমুড়ীর। নিহত ৩ জনও একই এলাকার। 

নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, এখন পর্যন্ত চার পুলিশ সদস্যের মরদেহ পাওয়া গেছে। সব মিলিয়ে তখন ১৩ জন পুলিশ সদস্য সেখানে ছিলেন। 

এ ঘটনায় বেঁচে যাওয়া এক পুলিশের বরাত দিয়ে তিনি আরও বলেন, প্রথমে আন্দোলনকারীরা থানা আক্রমণ করে। এ সময় পুলিশ বাঁচার জন্য ফাঁকা গুলি করেন। এরপর উত্তেজিত জনতা থানায় আগুন ধরিয়ে দেন। 

অপরদিকে, এক দল বিক্ষোভকারী আনন্দ মিছিল নিয়ে চাটখিল থানায় হামলা চালায়। থানা ভবনের ভেতরে প্রায় প্রতিটি কক্ষে হামলা-ভাঙচুরের পর অগ্নিসংযোগ করা হয়। তবে সেখানে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

সুজন/ইমন 


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়