ঢাকা     বুধবার   ১৫ জানুয়ারি ২০২৫ ||  মাঘ ২ ১৪৩১

নোয়াখালীতে সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮

নোয়াখালী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:০০, ৭ আগস্ট ২০২৪  
নোয়াখালীতে সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮

ফাইল ফটো

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে সহিংসতার ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে আটজনে। এর মধ্যে তিনজন পুলিশ সদস্য। এখনো পুলিশের ছয়জন সদস্য নিখোঁজ রয়েছেন। 

সোমবার ( ৫ আগস্ট) বিকেল থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত সোনাইমুড়ী উপজেলা সদরে ও আমিশাপাড়া ইউনিয়নে এসব সহিংসতার ঘটনা ঘটে। পুরো উপজেলা জুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। 

একই সময় জেলার চাটখিল থানায়ও হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। তবে সেখানে কোনো হতহতের ঘটনা ঘটেনি।

নিহত তিন পুলিশ সদস্য হলেন- এসআই বাছির, কনস্টেবল মো. ইব্রাহিম ও মো. মোশারফ। এ ছাড়া এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে রয়েছেন সোনাইমুড়ী পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ইয়াছির আরাফাত (১৫), শিমুলিয়া গ্রামের মো. ইয়াছিন (৩০) , সোনাইমুড়ী পৌর এলাকার মো. রায়হান (২০), বারগাঁও ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামের মো. তানভির (৩০)। 

নিহত আরেকজন হলেন- আমিশাপাড়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মো. রনি (২৮)। তিনি আমিশাপাড়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য। তাকে একদল দল দুর্বৃত্ত কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত আটজনের মধ্যে পুলিশের তিন সদস্যসহ সাতজন সোনাইমুড়ী থানায় আন্দোলনকারীদের হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় নিহত হন। যুবলীগ নেতা রনি নিহত হন আমিশাপাড়া ইউনিয়নে দুর্বৃত্তদের হামলায়। 

সোমবার (৫ আগস্ট) দিবাগত রাতে তাকে হত্যা করা হয়। ঘটনার পর পরিবারের পক্ষ থেকে প্রশানকে কিছু জানানো হয়নি। মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, ‘সোনাইমুড়ী থানায় হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় পুলিশের তিনজন সদস্য নিহত হয়েছেন। এছাড়া শুনেছি হামলাকারীদের মধ্যে দুজন নিহত হয়েছেন। আমিশাপাড়ায় যুবলীগ নেতা হত্যার ঘটনার তথ্য জানা নেই।’

পুলিশ সুপার আরও বলেন, ‘সোনাইমুড়ী ও চাটখিল থানায় হামলার ঘটনায় বেশ কিছু অস্ত্র ও গুলি লুট করে নিয়ে গেছে হামলাকারীরা। লুট হওয়া অস্ত্র ও গুলির সংখ্যা এখনো নিরুপণ করা হয়নি।’

সুজন/সনি


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়