ঢাকা     বুধবার   ১৩ নভেম্বর ২০২৪ ||  কার্তিক ২৯ ১৪৩১

গোপালগঞ্জে আ. লীগের সমাবেশ, সড়ক অবরোধ

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:২৪, ৯ আগস্ট ২০২৪   আপডেট: ০৯:৪৬, ১০ আগস্ট ২০২৪
গোপালগঞ্জে আ. লীগের সমাবেশ, সড়ক অবরোধ

চন্দ্রদিঘলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতারা ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন

অন্তবর্তীকালনী সরকারকে অবৈধ দাবি করে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। একই সময় সদর উপজেলার চন্দ্রদিঘলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করেন। ফলে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সন্ধ্যা ৬টার দিকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গেলে যান চলাচল পুনরায় স্বাভাবিক হয়।  

স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার (৯ আগস্ট) দুপুরে গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন দলটির নেতারা। মিছিলটি গোপালগঞ্জ শহরের কোর্ট মসজিদ ও কোর্ট এলাকাসহ বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে স্থানীয় চৌরঙ্গী গিয়ে শেষ হয়। পরে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, কৃষক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কয়েক হাজার কর্মী-সমর্থক অংশ নেন। এসময় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনগুলোর নেতাদের বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে শোনা যায়।

সমাবেশে অন্তর্বতীকালীন সরকারকে অবৈধ দাবি করে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জি এম সাহাব উদ্দিন আজম বলেন, ‘আমরা জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে  শেখ হাসিনাকে বাংলার মাটিতে ফিরিয়ে আনবো। সংবিধানে অন্তর্বতীকালীন সরকারকের কোনো বিধান নেই। সংবিধান বহাল রেখে অন্তর্বতীকালীন সরকার শপথ নিয়েছে তা অবৈধ।’

আরো পড়ুন:

যুক্তরাষ্ট্রের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, ‘১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার যে নীল নকশা হয়েছিল তা যুক্তরাষ্ট্রের সৃষ্ট। তারা (যুক্তরাষ্ট্র) বাংলাদেশের সেন্টমার্টিন নেওয়ার জন্য শেখ হাসিনাকে বলেছিলো। শেখ হাসিনা তাদের প্রস্তাবে রাজি হননি। এখন ড. ইউনূসের মাধ্যমে তারা নিজেদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করবে।’

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহবুব আলী খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে জেলা আওয়ামী লীগের  প্রচার সম্পাদক সিকদার নজরুল ইসলাম, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম কবির ও সাধারণ সম্পাদক আলীমুজ্জামান বিটু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

এদিকে, আজ বিকেল ৩টার দিকে চন্দ্রদিঘলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক ঘুরে বিজয়পাশা এলাকায় গিয়ে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের অবস্থান নেয়। পরে সেখানে বিক্ষোভ করেন দলটির নেতাকর্মীরা। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে চলা অবরোধে মহাসড়কের দুই পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গেলে সন্ধ্যা ৬টার দিকে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। 

বাদল/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়