ঢাকা     বুধবার   ১৫ জানুয়ারি ২০২৫ ||  মাঘ ২ ১৪৩১

ঘিওরে নদী ভাঙনে ঘরহারা ৫০ পরিবার

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:৪৯, ১২ আগস্ট ২০২৪   আপডেট: ০৮:৫২, ১২ আগস্ট ২০২৪
ঘিওরে নদী ভাঙনে ঘরহারা ৫০ পরিবার

মানিকগঞ্জের কালীগঙ্গা, ইছামতি ও পুরাতন ধলেশ্বরী নদীর পানি কমলেও ভাঙন তীব্র রূপ ধারণ করেছে। গত দুই সপ্তাহে ভাঙনের কবলে ফসলিজমি ও বিভিন্ন স্থাপনাসহ অর্ধশত বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। যদিও ভাঙনকবলিত স্পটে ভাঙনরোধে শুরু হয়েছে প্রায় দুই কোটি টাকার প্রকল্পে ৪০ হাজার জিও ব্যাগ ফেলাসহ অন্যান্য কাজ।

সরেজমিনে দেখা যায়, ধলেশ্বরীর ভাঙনের কবলে উপজেলার কুস্তা, বেগুননারচী, শ্রীধরনগর গ্রামের কমপক্ষে ৮ পরিবার চালের টিন, আসবাবপত্র, গবাদি পশু নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেছেন। এ গ্রাম দুইটিতে গত এক সপ্তাহে ধলেশ্বরীতে বিলীন হয়েছে আরও ১২ পরিবারের বাড়ি। ভিটামাটিহারা এসব মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন স্বজনের বাড়িতে। 

এদিকে উপজেলার জাবরা, তরা, উত্তর তরা ও নকীব বাড়ি এলাকার অন্তত ২০টি বসতবাড়ি, দুই কিলোমিটার রাস্তা ও ফসলি জমি কালিগঙ্গা নদীর ভাঙনের কবলে পড়েছে।  ইছামতির ভাঙনের কবলে পড়েছে ২শ বছরের প্রাচীন ঘিওর গরু হাটের অংশ, বাসুদেববাড়ি এলাকা। নদী পাড়ের এসব মানুষের দিন কাটছে ভাঙন আতঙ্কে। সব মিলিয়ে এ উপজেলায় ঘরহারা হয়েছেন ৫০টি পরিবার। 

কুস্তা গ্রামের প্রবীণ মনির উদ্দিন জানান, তার ২০ শতাংশ বসতভিটা ধলেশ্বরী নদীতে বিলীন হয়েছে। আগুনে পুড়ে শেষ হয়ে গেলেও অন্তত ভিটামাটি অবশিষ্ট থাকে। কিন্তু নদীর ভাঙন সবকিছুই শেষ করে দিয়েছে। 

বালিয়াখোড়া ইউনিয়নের কুশুন্ডা গ্রামের সামেলা বেগম বলেন, সকালে ঘুম ভাঙতেই দেখি বাড়ির উঠানের অর্ধেক নদীতে বিলীন। দুটি ঘর ভেঙে অন্যত্র সরিয়ে নিতে পেরেছি। এছাড়াও আমাদের গ্রামের আরও কয়েক বাড়ি ভাঙনের কবলে পরে।

উপজেলার পয়লা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও শ্রীধরনগর গ্রামের মন্টু মিয়া বলেন, নদী ভাঙনে মানুষ প্রতি বছর নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে। ভাঙন এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলা হলেও তা তেমন কোনো কাজে আসে না। ভাঙনরোধে স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা প্রয়োজন। 

মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাঈন উদ্দিন বলেন, ঘিওরে ভাঙন কবলিত স্পটগুলোতে দুই কোটি টাকা ব্যয়ে ৪০ হাজার জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। আশা করি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসহ সাধারণ মানুষের ঘরবাড়ি রক্ষা করা সম্ভব হবে।

জাহিদুল/ইমন


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়