শিক্ষার্থীদের সামনে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি, বরখাস্ত হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক

সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুনন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. রতন কুমার রায়কে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

 সোমবার (১২ আগস্ট) সন্ধ্যায় দুইদিনের জন্য জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেন।

অভিযোগ উঠেছে, রোববার (১১ আগস্ট) সকালে কথা কাটাকাটি হলে একপর্যায়ে নিজ কক্ষে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সামনে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. রতন কুমার রায়। এ তাকে অভিযোগের কারণে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

জানা যায়, হাসপাতাল এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করছিলেন আন্দোলকারী শিক্ষার্থীরা। এসময় এক রোগীর চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধাককে অবগত করেন তারা। এসময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তত্ত্বাবধায়কের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তত্ত্বাবধায়ক অশালীন ভাষা ও অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করেন। শিক্ষার্থীদের হুমকিও দেন। এর ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে এ নিয়ে জেলাজুড়ে আলোচনা-সমালোচনা  ও  নিন্দার ঝড় বয়। এঘটনা নিয়ে শিক্ষার্থীরা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে তত্ত্বাবধায়কের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করেন। পরে জেলা প্রশাসক তত্ত্বাবধায়ককে সাময়িক বরখাস্ত করেন।

আশরাফ ইসলাম নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা বেশকয়েকজন শিক্ষার্থী হাসপাতাল এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার সময় এক ব্যক্তি কানের চিকিৎসা নিতে আসেন। সেই ব্যক্তিকে একটি ভুয়া রশিদ দেওয়া হয়। সেই রশিদের বিষয়ে তত্ত্বাবধাকের কাছে যাই। এধরনের ভুয়া রশিদ কিভাবে দেওয়া হচ্ছে, বিষয়টি আপনি ঘুরে ঘুরে দেখার দায়িত্ব আপনার। একথা বলা মাত্রই তিনি আমাদের সঙ্গে মন্দ আচরন করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান জানান, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. রতন কুমার রায়কে দুই দিনের জন্য সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ঘটনার তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত শেষে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ব্যাপারে হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ফরিদুল ইসলাম জানান, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যে ঘটনা ঘটেছে সেটা আমার জানা নেই। তবে তত্ত্বাবধায়ক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এধরনের ব্যবহার করে থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, সিরাজগঞ্জে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভুয়া রশিদ ব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে আলাউদ্দিন নামে এক যুবক টাকা আত্মসাৎ করে আসছিলেন। এ ঘটনা নিয়ে সহকারি তত্ত্বাবধায়ক ডা. সাইফুল ইসলামকে প্রধান করে তিন সদস্য বিষিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।