মাগুরায় রাব্বি হত্যার ঘটনায় ১৩ জনের নামে মামলা
মাগুরা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

মাগুরায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাব্বি নিহতের ঘটনায় ১৩ জনের নামে মামলা হয়েছে।
বুধবার (১৪ আগস্ট) বিকেলে মাগুরা সদর থানায় নিহত রাব্বির ভাই ইউনুস আলী মামলা দায়ের করেন।
মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কলিমুল্লাহ জানান, ১৩ জন আসামির নাম উল্লেখ মামলাটি রুজু হয়েছে। অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ১৫০ জনকে।
বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। তাৎক্ষনিকভাবে আসামিদের নাম প্রকাশ করা হয়নি। তবে আসামিদের সবাই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে বলে যুক্ত বলে জানা গেছে।
জেলা ছাত্রদলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাব্বি পৌরসভার বরুনাতৈল গ্রামের মৃত ময়েন উদ্দিনের ছেলে।
জানা গেছে, গত ৪ আগস্ট সকাল ১০টার দিকে মাগুরা-ঢাকা মহাসড়কের পারনান্দুয়ালী নবগঙ্গা নদী ব্রিজের উপর অবস্থান নেয় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও বিএনপির নেতাকর্মীরা। এর কিছু দূরে মহাসড়কের নবগঙ্গা ব্রিজের পশ্চিম পাশে অবস্থান নেয় পুলিশ সদস্যরা। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও সেখানে অবস্থান নেয়।
এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও সংঘর্ষ শুরু হয়। দিনব্যাপী চলে এ সংঘর্ষের ঘটনা। দুপুরে গুলিতে আহত হন জেলা ছাত্রদলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাব্বি। পরে তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে এলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্ত ছাড়াই রাতে মেহেদী হাসান রাব্বিকে দাফন করা হয়।
মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের পরিচালক মহসিন উদ্দিন জানিয়েছেন, ওইদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত আহত অবস্থায় ২৫ জনের মানুষকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মেহেদী হাসান রাব্বী ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফরহাদ হোসেন মারা যান। তাদের মধ্যে মেহেদীর বুকে এবং ফরহাদ হোসেনের মাথায় গুলির আঘাত দেখা গেছে। দুজন একই এলাকায় সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন।
মামলার বাদি ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ওইদিন সাধারণ শিক্ষার্থী ও বিএনপির নেতাকর্মীরা পারনান্দুয়ালী থেকে মিছিল নিয়ে ঢাকা রোড বাসস্ট্যান্ড হয়ে শহরে প্রবেশ করতে চেয়েছিলেন। ঢাকা রোড স্লুইস গেইট এলাকায় পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের বাধার মুখে পড়েন তারা। এ সময় সংঘর্ষ বাঁধে।
মামলার বাদি নিহতের বড় ভাই ইউনুস আলী বুধবার বলেন, ‘আমার ভাইয়ের অনাগত সন্তান তার বাবার স্পর্শ কখনোই পাবে না। আমরা ন্যায় বিচার চাই। যাদেরকে চিহ্নিত করতে পেরেছি তাদের নামেই মামলা করেছি। রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করতে কাউকে আসামি করা হয়নি’।
শাহীন/টিপু