ঢাকা     শুক্রবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৫ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩২

থানায় মারধর-টাকা দাবি, ওসিসহ ৭ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা

নোয়াখালী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:০৮, ১৫ আগস্ট ২০২৪   আপডেট: ১৩:১৮, ১৫ আগস্ট ২০২৪
থানায় মারধর-টাকা দাবি, ওসিসহ ৭ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা

ফাইল ফটো

পুলিশি হেফাজতে নিয়ে মারধর ও টাকা দাবির অভিযোগে সুধারাম মডেল থানার ওসিসহ ৭ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন মিনারুল ইসলাম মিনার (৩৫) নামের এক আইনজীবী।

বুধবার (১৪ আগস্ট) জেলা ও দায়রা জজ ফজলে এলাহী ভূঁইয়ার আদালতে মামলা করেন তিনি। আদালত আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ প্রদান করেছেন।

মামলার আসামিরা হলেন- সুধারাম মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি, পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মিজানুর রহমান পাঠান, উপ-পরিদর্শক (এসআই) অপু বড়ুয়া, মো. কামাল হোসেন, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আবু তালেব, কনস্টেবল মো. রাসেল ও থানার মুন্সি রুবেল বড়ুয়া।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ফেব্রুয়ারি মাসে তানজিনা আক্তার তানিয়া (৭) নামে এক শিশুকে মামলার এফআইআরে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এ বিষয়ে আমার (মিনারুল ইসলাম মিনার) আবেদনের প্রেক্ষিতে সুধারাম থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনিকে শোকজ করেন আদালত। সেই বিরোধের জেরে ওসি আমার ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন। ১৯ জুলাই বিকেলে আমার মামা আবদুল করিম মুক্তকে আটক করে সুধারাম থানা পুলিশ। খবর পেয়ে তাকে থানায় দেখতে গেলে ওসির নেতৃত্বে আসামিরা থানার একটি কক্ষে আটক রেখে আমাকে মারধর করেন। খবর পেয়ে আত্মীয়-স্বজনেরা থানা থেকে ছাড়াতে গেলে এসআইদের মাধ্যমে দুই লাখ টাকা ঘুস দাবি করেন ওসি মীর জাহেদুল হক রনি ও পরিদর্শক মিজানুর রহমান পাঠান। টাকা না পেয়ে পরদিন আমাকে কয়েকটি মামলায় জড়িয়ে আদালতে চালান দেওয়া হয়। এ সময় আমার বিরুদ্ধে রিমান্ডের আবেদন করার ভয় দেখিয়ে তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. কামাল হোসেন ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন।

বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট জসীম উদ্দিন বলেন, জেলা ও দায়রা জজ ফজলে এলাহী ভূঁইয়ার আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অথবা তার কোনো অধস্তন ম্যাজিস্ট্রেট দ্বারা অনুসন্ধান করে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে সুধারাম মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনির মুঠোফোনে কল দেওয়া হলে রিসিভ করেন পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান পাঠান।

তিনি বলেন, ‘মামলাটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মিথ্যা। আমাদের হয়রানি করার জন্য এটি করা হয়েছে। থানায় এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি।’

সুজন/কেআই


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়