ঢাকা     মঙ্গলবার   ০১ অক্টোবর ২০২৪ ||  আশ্বিন ১৬ ১৪৩১

ধানমন্ডিতে হেনস্তার শিকার ব্যক্তি মারা যাননি, জানালেন ছেলে

শেরপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:১৩, ১৬ আগস্ট ২০২৪   আপডেট: ১৫:২৩, ১৬ আগস্ট ২০২৪
ধানমন্ডিতে হেনস্তার শিকার ব্যক্তি মারা যাননি, জানালেন ছেলে

ছেলে সিরাজ উল কুদ্দুস ইমরানের সঙ্গে আব্দুল কুদ্দুস মাখন। ফাইল ফটো

১৫ আগস্ট উপলক্ষে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে সড়কে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে দুর্বৃত্তদের হেনস্তার শিকার ব্যক্তি হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন বলে যে খবর ছড়িয়ে পড়েছে তা সত্যি নয়।

শুক্রবার (১৬ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার ছেলে সিরাজ উল কুদ্দুস ইমরান। হেনস্থার স্বীকার ওই ব্যক্তির নাম আব্দুল কুদ্দুস মাখন। তার গ্রামের বাড়ি শেরপুরের নকলা উপজেলার নারায়নখোলা এলাকায়। তার বাবার নাম আব্দুল হাই।

এর আগে মৃত্যুর গুজব উড়িয়ে দিয়ে ধানমন্ডিতে আব্দুল কুদ্দুস মাখনকে হেনস্থার সেই ভিডিও ফুটেজ শেয়ার করে ফেসবুকে দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিয়েছেন সিরাজ উল কুদ্দুস ইমরান। রাইজিংবিডির পাঠকদের জন্য তার সেই স্ট্যাটাসটি তুলে ধরা হলো, ভিডিওতে যাকে দেখতে পাচ্ছেন, উনার নাম আব্দুল কুদ্দুস মাখন। আমি তার বড় ছেলে সিরাজ উল কুদ্দুস ইমরান। উনি মারা যান নাই। জীবিত আছেন, মুমূর্ষু অবস্থায় আছেন। এই ভিডিও করার পর তাকে বেধড়ক পিটিয়ে তার মোবাইল টাকা সব নিয়ে নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে বাসায় তার চিকিৎসা চলছে। এখন আপনাদের যদি মনে হয়, তাকে মেরে ফেলবেন তাহলে বাসায় আসতে পারেন। আমাদের সবাইকে মেরে ফেলতে পারেন। আমাদের পরিবারের সবাই মরার জন্য প্রস্তুত। তার অপরাধ কি ছিল জানেন? মুক্তিযুদ্ধে তার, তার বাবার, তার বোনের অংশগ্রহণ। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলার কারণে মিথ্যা মামলায় ৭ মাস ২৪ দিন জেল খাটা। তার আরেকটি অপরাধ ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে যাওয়া, কালো পাঞ্জাবি পরিধান করা এবং বাংলাদেশের পতাকার টুপি পরিধান করা (একটা কথা আপনাদের অবগতির জন্য বলে রাখা ভালো, উনি মুক্তিযোদ্ধা সনদের জন্য কখনো চেষ্টাই করেন নাই, কারণ আমার বাবা সার্টিফিকেটের জন্য মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন নাই)। এই যদি তার অপরাধ হয়, তাহলে রাষ্ট্র আমাদের পুরো পরিবারকে ফাঁসি দিতে পারে। আমার বাবার সঙ্গে এই জঘন্য কাজের পরেও দুর্বৃত্তরা থামেনি। আমাদের গ্রামের বাড়িতে হামলা করা হয়েছে। আমার চাচাকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। এই সমাজ বা রাষ্ট্রের আছে আর বিচার চাওয়ার কিছু নেই। লাভও হবে না। জাতি হিসেবে আমি লজ্জিত। বাঙালি জাতি হিসেবে নিজেকে হয়তো কখনো পরিচয় দিতে পারব না। যারা আমাদের খোঁজখবর নিচ্ছেন, আব্বা কিছুটা সুস্থ হলে আপনাদের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দিব। তবে অন্য কারো বাবার সঙ্গে যেন এমন অন্যায় না হয় এই অনুরোধ রইলো। আমার বাবার মতো অনেকেই আছেন যারা বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসেন, কারণ তারা ৭১ দেখেছেন। এই অপরাধের জন্য দয়া করে আর কাউকে লাঞ্ছিত করবেন না প্লিজ।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে সড়কে হেনস্থার শিকার ব্যক্তি হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন।

তারিকুল/কেআই


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়