ঢাকা     সোমবার   ১৮ নভেম্বর ২০২৪ ||  অগ্রহায়ণ ৩ ১৪৩১

‘সাবেক এমপি প্রিন্সের নির্দেশে ছাত্র-জনতার ওপর গুলি করেন সাঈদ চেয়ারম্যান’

পাবনা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:৩৭, ১৮ আগস্ট ২০২৪   আপডেট: ১৭:৩৮, ১৮ আগস্ট ২০২৪
‘সাবেক এমপি প্রিন্সের নির্দেশে ছাত্র-জনতার ওপর গুলি করেন সাঈদ চেয়ারম্যান’

গ্রেপ্তার সোহেল খাঁন

পাবনা সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্সের নির্দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ছাত্র-জনতার গণঅবস্থান কর্মসূচিতে গুলিবর্ষণ করেন ভাঁড়ারা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু সাঈদ খান ও তার সহযোগীরা। 

রোববার (১৮ আগস্ট) দুপুরে গণমাধ্যমের কাছে এ তথ্য জানান গুলিবর্ষণকারী আবু সাঈদ খানকে গুলি এগিয়ে দেওয়া সহযোগী সোহেল খাঁন (২৮)। এর আগে পাবনার সদরের নলদহ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। তিনি সদর উপজেলার নলদহ গ্রামের ছাত্তার খাঁনের ছেলে। পাবনার দুই শিক্ষার্থী হত্যা মামলার এজাহারনামীয় সাত নম্বর আসামি সোহেল।

এ নিয়ে মামলার এজাহারনামীয় দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হলো। গত ১৪ আগস্ট রাতে মামলার একশত নম্বর আসামি জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক তৌফিক ইমাম খানকে গ্রেপ্তার করে সদর থানা পুলিশ।

আরো পড়ুন:

রোববার দুপুরে র‌্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্পে সংবাদ সম্মেলনে কোম্পানি কমান্ডার মেজর এহতেশামুল হক খান জানান, ঘটনার ভিডিও ফুটেজে শনাক্ত করে সোহেল খাঁনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার সোহেল জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ওই হত্যাকাণ্ডে জড়িত অন্যান্য সন্ত্রাসীদের সম্পর্কেও চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন। তাদের ধরতে অভিযান চলছে।

গ্রেপ্তার সোহেল খান গণমাধ্যমকে জানান, তারা ওই দিন (৪ আগস্ট) পাবনা শহরের গোডাউন মোড়ে অবস্থান করছিলেন। এমপি প্রিন্স তখন ফোন করেন সাঈদ চেয়ারম্যানকে। এ ফোন পাওয়ার পরই সাঈদ চেয়ারম্যান সবাইকে সঙ্গে নিয়ে শহরের দিকে আসেন এবং গাড়ি থেকে নেমে শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি করেন। পরে শিক্ষার্থীরা এগিয়ে আসলে তারা শালগাড়িয়া হয়ে পালিয়ে যান।

গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে পাবনা শহরের ট্রাফিক মোড়ে ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ গণঅবস্থান কর্মসূচি চলছিল। দুপুরের দিকে হঠাৎ করে পাবনা সদরের ভাঁড়ারা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ খান ও তার সহযোগীরা এলোপাথারি গুলিবর্ষণ করেন। এতে ঘটনাস্থলে দুই জন শিক্ষার্থী নিহত হন।

এরপর দ্বিতীয় দফায় সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্সসহ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের গুলিবর্ষণে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হন। এ ঘটনায় গত ১১ আগস্ট ১০৩ জনের নাম উল্লেখ করে পাবনা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
 

শাহীন/বকুল


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়