সাভারে সাবেক সংসদ সদস্যসহ আ.লীগের ৪০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
সাবেক সংসদ সদস্য মো. সাইফুল ইসলাম। ফাইল ছবি
ঢাকার অদূরে সাভারের আশুলিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের ওপর হামলা এবং এক শিক্ষার্থীকে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলায় সাবেক এক সংসদ সদস্যসহ আওয়ামী লীগের ৪০ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়।
গত ৫ আগস্ট আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকায় আস-সাবুর নামে এক ছাত্র নিহত হন। এ ঘটনায় তার মা মোছা. রাহেন জান্নাত ফেরদৌসী বাদী হয়ে রোববার (১৮ আগস্ট) রাতে আশুলিয়া থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন।
নিহত আস-সাবুর নওগাঁর মহাদেবপুর থানার মহাদেবপুর গ্রামের নায়েদ ওরফে জাকিরের ছেলে। সে আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়নের জামগড়ার শিমুলতলা এলাকায় পরিবারের সঙ্গে থেকে জামগড়া শাহীন স্কুলে ১০ দশম শ্রেণিতে পড়তো।
মামলায় সাভারের সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য ও আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলাম (৫৫), তুহিন কুলু (৫৪), আশুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন মাদবর (৫৮), ইয়ারপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন ভূঁইয়া (৫০), আশুলিয়া থানা যুবলীগের আহ্বায়ক মো. কবির সরকার (৫২), শাকিল উদ্দিন মুন্সি (৩৮), এনামুল হক মুন্সি (৪৭), সাদেক ভূঁইয়া (৬০), সাইফুল ইসলাম ব্যাপারী হিকু (৫৭), রাজু দেওয়ানসহ (৪৫) আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ৪০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার সব আসামি আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের পদধারী নেতাকর্মী।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট বাদীর ছেলে বাইপাইলে চলমান বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেয়। বেলা ৩টা পর্যন্ত তার সঙ্গে মায়ের মুঠোফোনে যোগাযোগ ছিলো। এরপরে আর যোগাযোগ করা যায়নি। এমনকি সে বাড়িও ফেরেনি। পরদিন বাইপাইল এলাকায় পোড়া অবস্থায় তার মরদেহ পাওয়া যায়।
মামলার এজাহারে বাদীর দাবি, ঘটনার দিন বাইপাইল মোড়ে ১-১০ নম্বর আসামির নেতৃত্বে ১০০০-১৫০০ লোকজন আগ্নেয়াস্ত্র, দেশিয় অস্ত্রসহ নানা অস্ত্র দিয়ে ওই এলাকায় যাকে পাচ্ছিলো তাকেই মারধর করে গুলি করছিল। একপর্যায়ে তারা আস-সাবুরকে পেয়ে তাকেও একইভাবে মারধরের পর গুলি করে আগুনে পুড়িয়ে দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম সায়েদ বলেন, ‘অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
প্রসঙ্গত, এ ঘটনায় এ নিয়ে দুটি মামলা করা হলো। আগের মামলাটি আস-সাবুরের প্রতিবেশী পরিচয়ে এক ব্যক্তি করেন।
আরিফুল/ইমন